সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ভাসল সত্যিকারের নৌকা
সৌন্দর্য বর্ধনের অংশ হিসেবে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তৈরি করা হয় জলাধার। পুরো জলাধারটিই পাকা। এতে পানি কম। ওই পানিতেই আজ ভেসেছে ৪০টি নৌকা।
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভার আয়োজন করে আওয়ামী লীগ। ওই জনসভায় বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জনসভা উপলক্ষে সারা উদ্যান সাজানো গোছানো হয়। এরই অংশ হিসেবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ওই জলাধারে ভাসিয়ে দেন নৌকা। একে একে ৪০টি নৌকা ঘুরে বেড়ায় পুরো জলাধার।
এসব নৌকায় কেউ কেউ ওঠে। কেউ ঘুরে এসে নামে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই এসব নৌকায় ঘুরে বেড়াতে থাকে। ওই জলাধারে পানি খুবই কম। একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের হাঁটুও স্পর্শ করে না পানি।
তখন দুপুর ২টা। জনসভা তখনো শুরু হয়নি। একটি নৌকায় ঘুরছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের একাধিক নেতাকর্মী। হঠাৎ করেই ভারসাম্য রাখতে না পেরে উল্টে যায় নৌকাটি। তাঁদের পোশাক পানিতে ভিজে যায়।
তাঁদেরই একজনের নাম আলতাফ হোসেন। পানিতে পড়ে গিয়ে তাঁর শার্ট প্যান্ট ভিজে যায়। তিনি বলেন, ‘ভিজে গেছি। কী আর করার! তবে বহুদিন পর আজ নৌকায় উঠেছি।’
আলতাফদের মতো আরো তিনটি নৌকায় পানি উঠে যায়। তবে জনসভাস্থলের পাশের একটি জলাধারে নৌকার এমন সচল উপস্থিতির বিষয়টি সবার নজর কাড়ে। নৌকা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক।
এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই ১৯৭১ সালের এ দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক ভাষণ দেন। তখন ওই এলাকাকে বলা হতো রেসকোর্স ময়দান।
ইউনেসকো বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এর আগে ২০১৪ সালে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণটি গত আড়াই হাজার বছরে সবচেয়ে জোরালো এবং যুদ্ধকালীণ অনুপ্রেরণাদায়ী ভাষণগুলোর মধ্যে অন্যতম হিসেবে একটি বইয়ে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। বিশিষ্ট ঐতিহাসিক জ্যাকব এফ ফিল্ড বইটির প্রণেতা।