বিজেএমসি একদম বন্ধ করে দেওয়া উচিত : অর্থমন্ত্রী
বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশন (বিজেএমসি) একদম বন্ধ করে দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেছেন, রাজস্ব খাত থেকে প্রতি বছর বিজেএমসিকে ৪০০ থেকে ৫০০ কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়া হয়। তারপরও তাদের ক্ষুধা মেটে না।
আজ বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।
আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, সরকার চায় পাট খাতকে এগিয়ে নিতে। কিন্তু এর পেছনে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বিজেএমসি। লোকসানি এ প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ না করলে পাট খাতকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে না।
এর আগে অর্থমন্ত্রী অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী সমিতির উদ্যোগে স্মরণিকা প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। এতে অর্থমন্ত্রী অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন।
একপর্যায়ে অর্থ মন্ত্রণালয় ও অর্থমন্ত্রীকে নিয়ে বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজমের মন্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, এটি সম্পূর্ণ তাঁর নিজস্ব বক্তব্য। এ নিয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই।
গত ৫ মার্চ রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে পাট শিল্পের বিকাশ না হওয়ার জন্য মির্জা আজম অর্থ মন্ত্রণালয়, অর্থমন্ত্রী ও বিশ্বব্যাংকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, ‘সম্ভবত অর্থমন্ত্রী পাটশিল্পের ওপর একটু বিরূপ মনোভাব পোষণ করেন।’
পাটশিল্প নিয়ে অপর এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, পাট একটি মৌসুমী পণ্য। এ কারণেই এ শিল্পের সব কর্মচারীর সারা বছর কাজ থাকে না। কথা ছিল বিজেএমসি ৫০ ভাগ কর্মচারীর চাকরি স্থায়ী করবে। বাকিরা অস্থায়ীভাবে কাজ করবে। এতেই সারা বছরের কাজ হয়ে যাবে। কিন্তু এ প্রতিষ্ঠানটি তার ৯০ ভাগ কর্মচারীকে স্থায়ী করে ফেলেছে। এতে রাজস্ব খাত থেকে প্রতি বছর ৪০০ থেকে ৫০০ কোটি টাকা পর্যন্ত ভর্তুকি দিতে হচ্ছে।
বিজেএমসি কেন বন্ধ করা উচিত এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘পাটকে আমরা রিভাইস করতে চাই। কিন্তু রিভিশনের প্রক্রিয়াটা আমার কাছে ভালো লাগছে না। দি ওল্ড বিজেএমসি হ্যাজ, তার কোনো এক্সিসটেন্স কোনো প্রয়োজন নেই বলে আমি মনে করি। এবং তাদের আমি বলেছি, বিজেএমসির কোনো জায়গা নেই নতুন ব্যবস্থায়। নতুন ব্যবস্থা আমরা বলছি, পিপিপি প্রজেক্ট হবে সব। সেখানে হোয়াট দি ব্লাডি হেল দিস বিজেএমসি ডোয়িং। দে শুড বি অ্যাবোলিস। বিজেএমসি একদম বন্ধ করে দেওয়া উচিত। ইট শুড নট হ্যাভ এক্সিসটেন্স। মন্ত্রণালয়ে তাদের একটা সমন্বয় সেক্রেটারিয়েট সেল থাকবে, দে শুড ডু ওয়ার্ক। এটা আমি তাদের অফিশিয়ালি পর্যন্ত বলেছি। বাট দে ডো নট অবলাইজ। বিকজ তারা বিজেএমসির খপ্পরে পড়েছে। তাদের আনস্যাটিসফায়েড হাঙ্গার ফর মানি। এই হচ্ছে মূল সমস্যা। অ্যাবোলিস বিজেএমসি। দ্যাট উইলি বি গুড ফর জুট সেক্টর।’