সালিমুল হকের আপিল গ্রহণ, জরিমানা স্থগিত
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় ১০ বছরের সাজা পাওয়া সালিমুল হকের আপিল গ্রহণ করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাঁর জরিমানা দণ্ড স্থগিত করা হয়েছে।
এ ছাড়া সালিমুল হকের আপিলটিকে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মামলার আপিলের সঙ্গে একত্রে শুনানির জন্য আদেশ দেন হাইকোর্ট।
আজ বুধবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিম এসব আদেশ দেন। কাজী সালিমুল হকের পক্ষে আদালতে আবেদনটি করেন আইনজীবী পলাশ চন্দ্র দাস।
এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ছয় আসামিকে সাজা দেওয়া হয়। এর মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের এবং অন্য আসামিদের ১০ বছরের সাজা দেওয়া হয়।
এরপর গতকাল মঙ্গলবার ১০ বছরের সাজা ও জরিমানার রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিল দায়ের করেন সালিমুল হক।
ওই মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজার বিরুদ্ধে করা জামিনের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে। তবে বিএনপিপ্রধানের জামিনের বিষয়ে কোনো আদেশ দেননি উচ্চ আদালত। নিম্ন আদালত থেকে মামলার রায়ের নথি উচ্চ আদালতে আসার পর আদেশ দেওয়া হবে।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় নিম্ন আদালতের দেওয়া সাজার বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে জামিন আবেদনের ওপর শুনানির জন্য আজকের দিন ঠিক করেন। সেইসঙ্গে স্থগিত করেন খালেদা জিয়ার অর্থদণ্ড।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম। খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, খন্দকার মাহবুব হোসেন ও এ জে মোহাম্মদ আলী।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কারাদণ্ডের রায়ের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। এরপর গত ২০ ফেব্রুয়ারি বিকেলে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিল দায়ের করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল ছাড়া মামলার অন্য আসামিরা হলেন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান। তাঁদের মধ্যে তারেক রহমান, কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান পলাতক।