অভিযোগপত্র গ্রহণ, শফিক রেহমানের বিরুদ্ধে পরোয়ানা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার মামলায় অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন আদালত। একই সঙ্গে এ মামলার অন্যতম আসামি প্রবীণ সাংবাদিক শফিক রেহমানের জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনসারী এসব আদেশ দেন।
ঢাকার অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপকমিশনার আনিসুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে জানান, এ মামলায় শফিক রেহমান ও পলাতক তিন আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। মামলার আরেক আসামি আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান জামিনে রয়েছেন।
পলাতক তিন আসামি হলেন জাতীয়তাবাদী সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সহসভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন, তাঁর ছেলে রিজভী আহাম্মেদ ওরফে সিজার এবং যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়া।
গত ২০ ফেব্রুয়ারি ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখায় এ অভিযোগপত্রটি দাখিল করেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার হাসান আরাফাত। আজ অভিযোগপত্রটি আদালতে উপস্থাপন করা হয়। আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) জালাল উদ্দিন বিষয়টি এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন।
জিআরও জালাল উদ্দিন আরো জানান, আজ আসামিদের হাজিরার দিন ধার্য ছিল। মাহমুদুর রহমান আদালতে হাজির ছিলেন। কিন্তু শফিক রেহমান না আসায় আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, জাসাসের সহসভাপতি যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন এবং দেশে ও দেশের বাইরে অবস্থানরত বিএনপির উচ্চ পর্যায়ের নেতারা জয়কে অপহরণ ও হত্যার ষড়যন্ত্র করছে এবং সন্দেহ করা হচ্ছে যে, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, বাংলাদেশসহ বিশ্বের যেকোনো দেশে সজীব ওয়াজেদ জয়ের জীবননাশসহ ক্ষতির ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছেন তাঁরা। এই ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নে বিএনপির হাই কমান্ড দেশ ও দেশের বাইরে থেকে অর্থায়ন করছে।
এ ঘটনায় ২০১৫ সালের ৪ আগস্ট ডিবির পরিদর্শক ফজলুর রহমান পল্টন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন, যা পরে মামলায় রূপান্তরিত হয়।