খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপির মানববন্ধন
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করছেন দলটির নেতাকর্মীরা। সেইসঙ্গে দেশব্যাপী পালন করা হচ্ছে এই কর্মসূচি।
বেলা ১১টায় কর্মসূচি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকাল ১০টার মধ্যে নেতাকর্মীরা এসে জড়ো হন প্রেসক্লাবের সামনে।
মানববন্ধনে উপস্থিত হয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, বরকত উল্লাহ বুলু, উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী, জয়নুল আবদিন ফারুক, আবদুস সালাম, ফরহাদ হালিম ডোনার, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি।
এ ছাড়া উপস্থিত হয়েছেন ২০ দলীয় জোট নেতাদের মধ্যে কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, লেবার পার্টির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ন্যাপ-ভাসানীর মহাসচিব গোলাম মোস্তফা, জাগপার সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান।
এদিকে বিএনপির এ কর্মসূচি ঘিরে সকাল থেকে প্রেসক্লাব ও আশপাশের এলাকায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। রয়েছেন সাদা পোশাকের গোয়েন্দা সদস্যরা। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাখা হয়েছে পুলিশের জলকামান, এপিসি ও প্রিজনভ্যান।
পুলিশের শাহবাগ এলাকার প্যাট্রল ইন্সপেক্টর আবুল বাশার বলেন, ‘আমরা জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব ব্যবস্থা নেব। কেউ কোনো বিশৃঙ্খলা করতে চাইলে তা কঠোরহস্তে দমন করা হবে।’
গতকাল সোমবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রেসক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা করেন বিএনপির জেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
এর আগে গত ২২ ফেব্রুয়ারি সমাবেশের কর্মসূচি পালন করতে না পেরে ২৪ ফেব্রুয়ারি কালো পতাকা প্রদর্শন কর্মসূচি ঘোষণা করে দলটি। কিন্তু পুলিশি বাধায় তাদের কর্মসূচি পণ্ড হয়ে যায়। আটক হন দলের অনেক নেতাকর্মী।
এদিকে, ১২ মার্চ আবারও ঢাকায় সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। এবার তারা সমাবেশের অনুমতির বিষয়েও আশাবাদী।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় পাঁচ বছরের সাজাপ্রাপ্ত হয়ে খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর এটি বিএনপির পঞ্চম দফা কর্মসূচি।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে পুরান ঢাকার বকশীবাজারে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় রায় ঘোষণা করেন। রায়ে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর এবং সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী সলিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ডাদেশ এবং দুই কোটি ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
৮ ফেব্রুয়ারি রায় ঘোষণার পর থেকেই পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।