শাবিপ্রবি ক্যাম্পাসের সীমানা প্রাচীরের কাজ শিগগিরই
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, পুরো বিশ্ববিদ্যালয়কে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার আওতাধীন আনা হবে। শিগগিরই ক্যাম্পাসের সীমানা প্রাচীরের কাজ শুরু করা হবে।
শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের ওপর হামলার ঘটনায় ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন। আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
উপাচার্য বলেন, ‘হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এ ধরণের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার মর্মাহত। দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাই। তিনি বর্তমানে শঙ্কামুক্ত ও ঝুঁকিমুক্ত আছেন। ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসার জন্য পাঁচ সদস্যের একটি টিম গঠন করা হয়েছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী জঙ্গিবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ আছে সাংবাদিকদের এমন কথার জবাবে উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন বলেন, ‘বিভাগগুলোতে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কোন শিক্ষার্থী ১৫ দিনের বেশি অনুপস্থিত থাকলে, তাঁর সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেওয়া হবে। এবং শিক্ষকরা এ ক্ষেত্রে সহায়তা করতে পারে।’
গতকাল শনিবার শিক্ষাবিদ জাফর ইকবাল নিজ ক্যাম্পাসে দুর্বৃত্তের হামলার শিকার হন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের একটি উৎসব ছিল। সেই উৎসবে অংশ নিয়ে অন্যদের সঙ্গে মুক্তমঞ্চে বসে ছিলেন মুহম্মদ জাফর ইকবাল। এক যুবক হঠাৎ পেছন থেকে তাঁর মাথায় ছুরিকাঘাত করেন। এরপর তাঁকে নেওয়া হয় সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। রাতেই তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নিয়ে আসা হয়।
জাফর ইকবালের ওপর হামলাকারীর নাম ফয়জুর রহমান (২৪)। তিনি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার কালিয়াপন গ্রামের বাসিন্দা। পরিবারের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের পাশে কুমারগাঁওয়ের শেখপাড়ায় থাকেন ফয়জুর। তিনি মাদ্রাসায় পড়ালেখা করেছেন। ফয়জুর মঈন কম্পিউটার নামে একটি দোকানে কাজ করেন।