‘জাফর ইকবালের নিরাপত্তার কোনো ত্রুটি ছিল না’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, ‘দেশবরেণ্য শিক্ষাবিদ, লেখক এবং সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) অধ্যাপক মুহম্মদ ড. জাফর ইকবালের ওপর হামলার ঘটনায় নিরাপত্তার কোনো ত্রুটি ছিলো না।’
বার্তা সংস্থা বাসস জানিয়েছে, আজ রোববার রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজার এলাকায় অবস্থিত নাজনীন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আসাদুজ্জমান খাঁন বলেন, ‘জাফর ইকবালের নিরাপত্তার কোনো ত্রুটি ছিল না, ত্রুটি থাকলে হামলাকারী ধরা পড়তো না। হামলাকারী ধরা পড়েছে, তার কাছে হামলার বিষয়ে জানতে পারব।’
হামলাকারীর ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যতটুকু জানতে পেরেছি, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশেই তার একটা কম্পিউটারের দোকান ছিল। সে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, তার কাছে হামলার মোটিভ জানতে পারব।’
কোনো উগ্রবাদী গোষ্ঠী হামলা চালিয়েছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এজন্য অপেক্ষা করতে হবে। তার জবানবন্দি আগে নিতে হবে। তার পর জানতে পারব কেন বা কারা এই হামলা করেছে।’
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে ছাত্র না হওয়া সত্ত্বেও কিভাবে হামলাকারী প্রবেশ করেছে- জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিষয়টি তদন্তাধীন, আমরা তদন্ত করে দেখছি। তারপর বিস্তারিত জানা যাবে।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের একটি উৎসব ছিল। সেই উৎসবে অংশ নিয়ে অন্যদের সঙ্গে মুক্তমঞ্চে বসে ছিলেন মুহম্মদ জাফর ইকবাল। এক যুবক হঠাৎ পেছন থেকে তাঁর মাথায় ছুরিকাঘাত করেন। এরপর তাঁকে নেওয়া হয় সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। রাতেই তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নিয়ে আসা হয়।
জাফর ইকবালের ওপর হামলাকারীর নাম ফয়জুর রহমান (২৪)। তিনি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার কালিয়াপন গ্রামের বাসিন্দা। পরিবারের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের পাশে কুমারগাঁওয়ের শেখপাড়ায় থাকেন ফয়জুর। তিনি মাদ্রাসায় পড়ালেখা করেছেন। ফয়জুর মঈন কম্পিউটার নামে একটি দোকানে কাজ করেন।