ধরা পড়েছে ড. জাফর ইকবালের ওপর হামলাকারী
জনপ্রিয় লেখক ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবালের ওপর হামলাকারী এই যুবকের পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা মনে করছেন, এই যুবক তাঁদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নন।
আজ শনিবার সন্ধ্যায় সিলেট মহানগর পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত উপকমিশনার (দক্ষিণ) জ্যোতির্ময় সরকার তপু জানান, ওই যুবককে পুলিশের হেফাজতে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এরপর তাকে চিকিৎসা দিয়ে তার কাছ থেকে পরিচয় ও হামলার তথ্য নেওয়ার চেষ্টা করা হবে।
এর আগে সন্ধ্যা ৬টার দিকে শাবিপ্রবির মুক্তমঞ্চ এলাকায় একটি অনুষ্ঠান চলাকালে ড. জাফর ইকবালের মাথায় পেছন থেকে ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি হামলা করেন এই যুবক। এসময় বাধা দিতে গেলে আহত হন পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ইব্রাহীম। পরে এই যুবককে ধরে ফেলেন উপস্থিত শিক্ষার্থীরা। এসময় তাকে গণপিটুনি দেওয়া হয়।
পরে পুলিশ ও প্রশাসনের লোকজন ওই যুবককে উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ভবন-এ তে আটকে রাখা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের একটি উৎসব ছিল। সেই উৎসবে অংশ নিয়ে অন্যদের সঙ্গে মুক্তমঞ্চে বসে ছিলেন মুহাম্মদ জাফর ইকবাল। এক যুবক হঠাৎ পেছন থেকে তাঁর মাথায় ছুরিকাঘাত করেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে পুলিশের একই মাইক্রোবাসে করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবালের ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা জানানোর পাশাপাশি এই ঘটনার জন্য প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালকে দেখতে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত হামলার শিকার ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নেওয়া হচ্ছে।
হামলার প্রতিবাদে শাবিপ্রবি ক্যাম্পাস ও রাজধানীর শাহবাগে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।