ইলিশের অভয়াশ্রমে দুই মাস জাল ফেলা যাবে না
মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর ২৯০ কিলোমিটার এলাকাকে ইলিশের অভয়াশ্রম হিসেবে ঘোষণা করেছে মৎস্য অধিদপ্তর। এর ফলে আগামী দুই মাস ওই নদীপথে সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই সময়ে কেউ জাল ফেলতে পারবেন না।
মৎস্য সংরক্ষণ আইন, ১৯৫০-এর ১৩ ধারা অনুযায়ী মৎস্য অধিদপ্তর ওই নিষেধাজ্ঞা জারি করছে। পাশাপাশি এ সময়ের মধ্যে অভয়াশ্রম-সংশ্লিষ্ট এলাকায় মাছ কেনাবেচা, মজুদ ও পরিবহন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বাংলাদেশের ইলিশ সম্পদের উন্নয়ন ও জাটকা রক্ষায় প্রতিবছরই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়। এ জন্য জেলেরা সরকারিভাবে সহযোগিতা পেয়ে থাকেন।
নিষেধাজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত ইলিশ অভয়াশ্রমগুলো হলো চাঁদপুরের ষাটনল থেকে লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চর আলেক্সান্ডার পর্যন্ত মেঘনা নদীর নিম্ন অববাহিকার ১০০ কিলোমিটার, ভোলার মদনপুর চর ইলিশা থেকে চর পিয়াল পর্যন্ত মেঘনা নদীর শাহবাজপুর চ্যানেলের ৯০ কিলোমিটার এবং ভোলার ভেদুরিয়া থেকে পটুয়াখালীর চর রুস্তম পর্যন্ত তেঁতুলিয়া নদীর ১০০ কিলোমিটার এলাকা।
চাঁদপুরের জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আসাদুল বাকী জানান, চাঁদপুরের মতলব উত্তর, মতলব দক্ষিণ, চাঁদপুর সদর ও হাইমচর উপজেলায় ৫১ হাজার ১৯০ জন তালিকাভুক্ত জেলেকে এই দুই মাস বিকল্প কর্মসংস্থান হিসেবে সরকারের পক্ষ থেকে সেলাই মেশিন, গবাদি পশুসহ অন্যান্য সমাগ্রী দেওয়া হবে।
যদি কেউ এ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ আহরণ করে, তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে মৎস্য আইনে দুই হাজার টাকা জরিমানা, দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে বলে মৎস্য কর্তৃপক্ষ।