‘দুর্নীতিকে নীতি হিসেবে গ্রহণ করেছে বিএনপি’
গঠনতন্ত্রের সাত ধারা বাতিলের মাধ্যমে বিএনপি দুর্নীতিকে নীতি হিসেবে গ্রহণ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে দুর্নীতি আর অর্থপাচার ছাড়া কিছুই করতে পারেনি।’
আজ বুধবার ১০ম জাতীয় সংসদের ১৯তম অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতীয় সংসদের ২০১৮ সালের প্রথম অধিবেশন শেষ হলো আজ। রেওয়াজ অনুযায়ী এই অধিবেশনের প্রথম দিনেই ভাষণ দেন রাষ্ট্রপতি। ৩৫ কার্যদিবস তাঁর ভাষণের ওপর আলোচনা হয়। সবশেষ বক্তব্য দেন সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কারাদণ্ড প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দুই কোটি টাকার লোভটা তারা সামলাতে পারল না। এতিমদের সাহায্য না করে আত্মসাত করল। এখানে সরকারের অপরাধটা কী? এটা তো খুঁজে দিয়েছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার, মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘খালেদা জিয়ার শাস্তি হওয়ার পর বিদেশে পালিয়ে থাকা আরেক দুর্নীতিবাজকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দিয়েছে বিএনপি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মামলার (জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট) রায় বের হওয়ার আগেই বিএনপির গঠনতন্ত্র সংশোধন করা হলো। গঠনতন্ত্রের ৭ ধারায় ছিল কেউ যদি দুর্নীতির দায়ে বা ফৌজদারি মামলায় আসামি হয় তাহলে দলের কোনো পদে থাকতে পারবে না। সেটাকে তারা সংশোধন করে দিল যে সাজাপ্রাপ্ত হলেও থাকতে পারবে। অর্থাৎ দুর্নীতিটাকেই তারা গ্রহণ করে নিল।’
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘যে রাজনৈতিক দল দুর্নীতিকেই নীতি হিসেবে গ্রহণ করে, গঠনতন্ত্রে তাদের আশ্রয় দেয় বা নেতা হিসেবে গ্রহণ করে সে দল জনগণের কী কল্যাণে কাজ করতে পারবে?’
বার্তাসংস্থা বাসস জানিয়েছে, রাষ্ট্রপতির ভাষণে আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর সরকার ও বিরোধীদলের মোট ২৩৩ জন সংসদ সদস্য ৬৪ ঘণ্টা ৯ মিনিট আলোচনা করেন। আলোচনা শেষে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি সর্বসম্মতভাবে ধন্যবাদ প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। এ অধিবেশনে ১৫টি সরকারি বিল পাস করা হয়।