সীমান্তে স্মার্ট বর্ডার ম্যানেজমেন্ট প্রকল্পের কাজ শুরু
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) দেশের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলে স্মার্ট বর্ডার ম্যানেজম্যান্ট বাস্তবায়ন করতে পারলে সীমান্তে চোরাচালান শূন্যের কোঠায় নেমে আসবে।
মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রামের হালিশহরে বিজিবির দক্ষিণ-পূর্ব রিজিয়নের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন রিজিয়ন কমান্ডার কর্নেল গাজী মো. আহাসানুজ্জামান।
সভায় লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম মনজুর সিদ্দিকী, কর্নেল মো. আবদুল্লাহ আল মামুন, খাগড়াছড়ি কমান্ডার কর্নেল মো. মোয়াজ্জেম হোসেন ও রাঙামাটি জেলা কমান্ডার কর্নেল পাভেল আকরাম বক্তব্য দেন।
রিজিয়ন কমান্ডার কর্নেল গাজী মো. আহাসানুজ্জামান জানান, দেশের দক্ষিণ-পূর্ব রিজিয়নে ২৭১ কিলোমিটার অরক্ষিত সীমান্তে ৪১টি নতুন বিওপি নির্মাণ করে সীমান্ত সুরক্ষা করা হয়েছে। স্মার্ট বর্ডার ম্যানেজমেন্ট বাস্তবায়নে পাইলট প্রকল্পের কাজ এরই মধ্যে শুরু হয়েছে।
আহাসানুজ্জামান জানান, মিয়ানমারে সীমান্ত সড়কের পরিকল্পনা শেষ হয়েছে। এ কার্যক্রমটি চলমান আছে। অন রাউন্ডে নিজস্ব রিসোর্সে এ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। স্থানীয় সরকারের মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় আংশিক আংশিকভাবে পায়ে চলা পথ তৈরি করা হচ্ছে। তবে কত মিটার সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে তা মিটারে বলা যাবে না।
রিজিয়ন কমান্ডার বলেন, দেশের ভূমি লে-আউটের কারণে নানাভাবে সমস্যা হচ্ছে। সীমান্ত এলাকায় কোনো জায়গা সমতল, আবার কোথাও পাহাড়, পানি, খাল, সরু পথ। কোথাও ব্রিজের প্রয়োজন। আপাতত বাঁশ দিয়ে ব্রিজ নির্মাণ করে কাজ করতে হচ্ছে। কোনো এক সময় গাড়ি চলাচলের মতো ব্রিজ করতে হবে।
কর্নেল আহাসানুজ্জামান বলেন, এ মুহূর্তে মিয়ানমার সীমান্তকে অগ্রাধিকার দিয়ে সীমান্ত সড়কের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। দেশের দক্ষিণ-পূর্ব রিজিয়নে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের তিনটি সেক্টরের মধ্যে রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও গুইমারা সেক্টর। এ ছাড়া ১৩টি ব্যাটালিয়ন, ৯৮টি বিওপি এবং ৩০টি সিআইও ক্যাম্প রয়েছে।