চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের সম্মেলনে সংঘর্ষ, চেয়ার ছোড়াছুড়ি
চট্টগ্রামে আবার সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। একাধিক পক্ষের সংঘর্ষে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন পণ্ড হয়ে গেছে। সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার নগরীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এই ঘটনা ঘটে।
এর আগে বেলা পৌনে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে সংগঠনের পতাকা উত্তোলন করে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন। সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। উপস্থিত ছিলেন উত্তর জেলা ছাত্রলীগের অন্তর্ভুক্ত চট্টগ্রামের সাতটি উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
সম্মেলন উপলক্ষে আলোচনা সভা শুরু হলে জাকির হোসাইন হোসেন বক্তব্য শুরু করেন। এ সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা স্লোগান দিতে থাকেন। মঞ্চে থাকা নেতারা বার বার চেষ্টা করেও স্লোগান থামাতে পারেননি। একপর্যায়ে মিলনায়তনের ভেতর ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ সময় একাধিক পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া শুরু হয় এবং চেয়ার ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মোশাররফ হোসেন হাতে মাইক নিয়ে কর্মীদের শান্ত হওয়ার বারবার অনুরোধ করেন। পরে মঞ্চ থেকে নিচে নেমে সংঘর্ষ থামানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। অতিথিরা মঞ্চ ছেড়ে সংঘর্ষ ও স্লোগান থামানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। একপর্যায়ে সভাস্থল ত্যাগ করে চলে যান।
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক সংসদ সদস্য ড. হাছান মাহামুদ, সংসদ সদস্য ফজলে করিম, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহাফুজুল হক রোটন, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আলম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক এম এ সালামসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সংঘর্ষের একপর্যায়ে নেতারা মিলনায়তন ছেড়ে চলে গেলে কর্মীরা মঞ্চ দখল করে নেন। আর তখনই পণ্ড হয়ে যায় উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন।
ঘটনার পর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনের বাইরে বিপুল র্যাব ও পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়।
এর আগে গতকাল সোমবার বিকেলে নগরীর লালদীঘি মাঠে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী স্মরণে শোকসভার আয়োজন করে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগ। ওই শোকসভায়ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে এবং চেয়ার ছোড়াছুড়ি করে।