‘আ. লীগের নেতাকর্মী ছাড়া কাউকে চাকরি দেওয়া হয় না’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, ‘দেশে আজ প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। বিরোধী দলের যেমন সভা সমাবেশ ও রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের সুযোগ নেই ঠিক তেমনি এখন গণমাধ্যমেরও স্বাধীনতা নেই।’
মওদুদ আহমদ আরো বলেন, ‘সব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে দলীয়করণ করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ছাড়া কাউকে চাকরি দেওয়া হয় না।’
আজ সোমবার বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আয়োজিত প্রতিবাদসভায় এসব কথা বলেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে ওই প্রতিবাদসভার আয়োজন করে জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ পরিষদ।
ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, ‘বাংলাদেশে খালেদা জিয়াকে ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না। সরকার যতই চেষ্টা করুক না কেন তারা নির্বাচন পর্যন্ত যেতে পারবেন না।’
সরকারের উদ্দেশে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, ‘আপনারা মনে করেছেন খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে নির্বাচনে যাবেন? আপনাদের সে আশা কখনো পূরণ হবে না। দেশের মানুষ তা কখনো হতে দিবে না। নির্বাচন পর্যন্ত যেতে পারবেন না, ভোটের আগেই আওয়ামী লীগকে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে সমঝোতা করতে হবে।’
মওদুদ আহমদ আরো বলেন, ‘মিথ্যা ও বানোয়াট, সাজানো মামলায় খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছে, যাতে তারা আবার ভোটারবিহীন নির্বাচন করে ক্ষমতায় যেতে পারে।’
দলের নেতাদের উদ্দেশে মওদুদ বলেন, ‘আমাদের কারো এখন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বড় বড় বক্তৃতা দেওয়ার কোনো দরকার নেই। কারণ আমরা রাস্তায় নামলে রাজনীতির পরিস্থিতি পরিবর্তন হয়ে যাবে। মানুষের জোয়ারে আওয়ামী লীগ সরকার ভেসে যাবে।’
মওদুদ আহমদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নৌকার পক্ষে ভোট চাইছে আর খালেদা জিয়াকে কারাগারে আটকে রেখেছে। অথচ নির্বাচন কমিশন কিছু বলছে না। নির্বাচন কমিশন কথায় বলে তারা স্বাধীন। কিন্তু তারা বর্তমান সরকারে তলপিবাহক হিসেবে কাজ করে। যদিও সাংবিধানিক ভাবে নির্বাচন কমিশন প্রতিবেশী দেশ ভারতের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী।’
সংগঠনের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন খোকনের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, সাবেক সংসদ সদস্য শিরিন সুলতানা।