মিথ্যা, সাজানো ও বানোয়াট মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়ে বর্তমান সরকার চোরাবালিতে আটকে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

আজ সোমবার দুপুরে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের তৃতীয় তলায় নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ আয়েজিত নার্স সমাবেশে নজরুল ইসলাম খান এসব কথা বলেন।

সরকার প্রতিহিংসামূলকভাবে সাজা দিয়ে খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠিয়েছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপির এই নেতা। তিনি বলেন, ‘কিন্তু দেশের মানুষ এটাকে ভালোভাবে নেয়নি। সবাই সরকারের এমন আচরণের নিন্দা জানিয়েছে। খালেদা জিয়ার জামিনে বাধা দিয়ে সরকার চোরাবালির আরো গভীরে পৌঁছেছে।’

নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘খুনের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ও দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্তরা জামিন পেলেও খালেদা জিয়াকে জামিন দেওয়া হচ্ছে না। অনেক খুনের আসামির আপিল গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গেই জামিন হচ্ছে; কিন্তু খালেদা জিয়ার জামিন নথির কথা বলা হচ্ছে।’

শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলকভাবে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের মামলাগুলো সচল রাখা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন এই নেতা।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘দুই কোটি টাকার জন্য খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের সাজা হলে হাজার হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির জন্য কত বছর জেল হবে? শেয়ারবাজার, হলমার্ক, বিসমিল্লাহ গ্রুপের কেলেঙ্কারির জন্য কত বছর সাজা হবে? বিচারের হাত থেকে বাঁচার জন্যই এসব লুটেরা দুর্নীতিবাজ চায় বর্তমান সরকার আবারও ক্ষমতায় থাকুক।’

বিএনপিকে দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল উল্লেখ করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, সেই দলের নেত্রী খালেদা জিয়া দেশের সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় নেত্রী। তাই বিএনপির চেয়ারপারসনের জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে তাঁকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘খালেদা জিয়া সরকারের সব অন্যায়-অত্যাচারের প্রতিবাদ করেন, গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করছেন, তাই বর্তমান সরকারের প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন। মিথ্যা সাজানো মামলায় অন্যায়ভাবে সাজা দেওয়া হয়েছে।’

নার্সেস সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব।