ঢাকা উত্তরের মেয়র নির্বাচনের রুল নিষ্পত্তির নির্দেশ
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র পদে উপনির্বাচন এবং উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩৬টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচন নিয়ে জারি করা রুল দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি এ কে এম সাহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চকে রুল নিষ্পত্তি করতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে করা লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি করে আজ রোববার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ফিদা এম কামাল। বিএনপির মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন।
এর আগে গত ২২ ফেব্রুয়ারি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে উপনির্বাচন এবং উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩৬টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচন স্থগিত করে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিলের শুনানিতে পক্ষভুক্ত হন বিএনপির মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল।
গত ১ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আবেদন করে ইসি। গত ১৭ জানুয়ারি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে উপনির্বাচন ও সম্প্রসারিত অংশের কাউন্সিলর নির্বাচন স্থগিত করেন হাইকোর্ট এবং একই সঙ্গে ওই নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল কেন ‘আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত’ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করেন আদালত। বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমেদের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
ডিএনসিসি মেয়রের শূন্য পদে উপনির্বাচনের ঘোষিত তফসিলের স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে পৃথক দুটি রিট দায়ের করেন রাজধানী উত্তরের বেরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম ও ভাটারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান।
আইনজীবীরা বলেন, ৯ জানুয়ারির ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ১৮ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র দাখিল করতে হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। যিনি প্রার্থী হবেন, তিনিও জানেন না তিনি ভোটার কি না। তা ছাড়া মনোনয়নপত্রে ৩০০ ভোটারের স্বাক্ষর থাকতে হবে। ভোটার তালিকা প্রকাশ না হলে এটা সম্ভব হচ্ছে না।
এ ছাড়া স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন, ২০০৯-এর ৫(৩) উপধারায় বলা হয়েছে, ‘মেয়রের পদসহ করপোরেশনের শতকরা ৭৫ ভাগ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইলে এবং নির্বাচিত কাউন্সিলরগণের নাম সরকারি গেজেটে প্রকাশিত হইলে, করপোরেশন, এই আইনের অন্যান্য বিধান সাপেক্ষে, যথাযথভাবে গঠিত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।’
আইন অনুযায়ী, উত্তর সিটি করপোরেশনে নতুন যুক্ত হওয়া ১৮টি মিলে কাউন্সিলর শতকরা ৭৫ ভাগ হয় না। কারণ নতুন ১৮টিতে তো নির্বাচনই হয়নি। সে হিসেবে মেয়র পদই তো গঠিত হচ্ছে না।
তা ছাড়া সম্প্রসারিত ১৮টি ওয়ার্ডে যাঁরা কাউন্সিলর হবেন, তাঁরা কত দিনের জন্য নির্বাচিত হবেন। তাঁরা কি পাঁচ বছরের জন্য হবেন, না আড়াই বছরের জন্য নির্বাচিত হবেন—সে বিষয়েও প্রশ্ন তোলা হয় রিট আবেদনে।