বরযাত্রীকে উত্ত্যক্ত, বিয়ে বাড়িসহ হরিজনপল্লিতে হামলা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় কিশোরী এক বরযাত্রীকে উত্ত্যক্ত করেছে গ্রামের কয়েকজন বখাটে। এই ঘটনার প্রতিবাদ করায় বখাটেরা লোকজন নিয়ে এসে বিয়ে বাড়িসহ হরিজনপল্লির বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করে। হামলার সময় বর হুমেন ঋষিকে মারধর করে তাঁর গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়।
এ ঘটনায় কসবা থানায় মামলা হয়েছে। হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে মাসুক, জুয়েল ও তানভীর নামের তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আজ শনিবার সকালে আইনমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব অ্যাডভোকেট রাশেদুল কায়সার ভূইয়া জীবন, কসবা পৌরসভার মেয়র মো. এমরান উদ্দিন জুয়েল, বিনাউটি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. ইকবাল হোসেন, উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি দিলীপ কুমার রায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার রাতে কসবার রাউৎহাট গ্রামের হরিজনপাড়ায় জহরলাল ঋষির ছেলে হুমেন ঋষি বিয়ে করতে সদর উপজেলার মজলিশপুর গ্রামে যাচ্ছিলেন। পথে একই গ্রামের বাসিন্দা গ্রেপ্তার হওয়া তিনজনসহ কয়েকজন এক কিশোরী বরযাত্রীকে উত্ত্যক্ত করে। এ সময় কিশোরীর বড় ভাই রায়মন ঋষি প্রতিবাদ করলে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। পরে বখাটে তপু মুঠোফোনে কল দিয়ে পাশের নেমতাবাদ-মনিচং ও চান্দাইসার গ্রামের কয়েকজন যুবক নিয়ে এসে বিয়ে বাড়িসহ হরিজনপল্লির বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করে। হামলার সময় বর হুমেন ঋষিকে মারধর করে তাঁর গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়।
এ ঘটনায় পাঁচজন আহত হয়। আহত অবস্থায় রায়মন ঋষিকে প্রথমে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ব্যাপারে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, এ ঘটনায় জহরলাল ঋষি বাদী হয়ে ১৬ জনকে আসামি করে কসবা থানায় মামলা দায়ের করেছেন। অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের পাঁচদিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।