বাহুবলে তিন মাদ্রাসাছাত্র ‘নিখোঁজ’, জিডি
হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার ইজ্জতনগর এলাকার মিরপুর সামসুল উলুম নূরানী হাফিজিয়া মাদ্রাসা থেকে তিন ছাত্র নিখোঁজ হয়েছে বলে জানা গেছে। তারা হলো জেলার শায়েস্তাগঞ্জ উপজলোর শ্যামপুর গ্রামের মো. মোশাহিদ মিয়ার ছেলে মোঃ জুনাইদ আহমদ (১৪), চুনারুঘাট উপজেলার পূর্ব হাসারগাঁও গ্রামের আইয়ূব আলীর ছেলে মো. তানভীর আহমদ(১৪) ও মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার কাশেমনগর গ্রামের রশিদ আলীর ছেলে শরীফ উদ্দিন(১৩)।
এ ঘটনায় আজ শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় বাহুবল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক হাফেজ খোরশেদ আলম।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক হাফেজ খোরশেদ আলম জানান, নিখোঁজ হওয়ার পর বিষয়টি তাদের অভিভাবকদের জানানো হয়। সেই সাথে বিভিন্ন স্থানে খোঁজ খবর নেওয়া হয়েছে। অবশেষে বাহুবল মডেল থানায় অবগত করা হয়। এ বিষয়ে মাইকিং করা হয়েছে। এ পর্যন্ত তাদের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। ছাত্রদের নিখোজের ঘটনায় সবাই উৎকণ্ঠায় আছে। বাহুবল মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মফিজুল ইসলাম মাদ্রাসায় এসে নিখোঁজ ছাত্রদের সম্পর্কে তথ্য নিয়েছেন।
এ ব্যাপারে বাহুবল থানার এসআই মফিজুল ইসলাম জানান, বিষয়টি জানার পর তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে তথ্য নিয়েছেন। ব্যাপারটি অতি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।
২০১৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি বাহুবল উপজেলার সুন্দ্রাটিকি গ্রামের মো. ওয়াহিদ মিয়ার পুত্র জাকারিয়া আহমেদ শুভ (৮), তার চাচাত ভাই আব্দুল আজিজের ছেলে তাজেল মিয়া (১০) ও আবদাল মিয়ার ছেলে মনির মিয়া (৭) এবং তাদের প্রতিবেশী আব্দুল কাদিরের ছেলে ইসমাঈল হোসেন (১০) নিখোঁজ হয়েছিল। ওইদিন বিকেল বেলা তারা উত্তর ভাদেশ্বর গ্রামে ফুটবল খেলা দেখতে গিয়েছিল। এ ব্যাপারে পরদিন ১৩ ফেব্রুয়ারি ওয়াহিদ মিয়া বাদী হয়ে বাহুবল থানায় জিডি করেন। ১৬ ফেব্রুয়ারি রাতে বাহুবল মডেল থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা দায়ের করেন নিখোঁজ এক শিশুর বাবা। এই ঘটনার পর পুলিশের একাধিক দল ও র্যাব মাঠে নামে ওই শিশুদের অনুসন্ধানে। ১৫ ফেব্রুয়ারি সোমবার বিকেলে হবিগঞ্জের পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে নিখোঁজ শিশুদের সন্ধানদাতাকে ২০ হাজার টাকা পুরস্কার দেয়ার ঘোষণা করা হয়। ১৭ ফেব্রুয়ারি সকালে সুন্দ্রাটিকি গ্রামের দিনমজুর কাজল মিয়া প্রতিদিনের ন্যায় বাড়ি থেকে বের হয়ে নদীর পাশে মাটি কাটতে গিয়ে মাটি চাপা অবস্থায় চার শিশুর লাশ দেখতে পান। পরে লাশগুলো উত্তোলন করে ময়নাতদন্ত শেষে ওইদিন রাতে দাফন করা হয়। ওই ঘটনাটি দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল।