হবিগঞ্জে বিএনপির মিছিলে পুলিশের গুলি, সংঘর্ষ
হবিগঞ্জে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলে বাধা দিয়ে লাঠিপেটা করেছে পুলিশ। এ সময় নেতাকর্মীরা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ এলোপাতাড়ি গুলি চালায়।
এতে বিএনপির অন্তত ২০ জন গুলিবিদ্ধসহ ৪০ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে হবিগঞ্জ জেলা বিএনপি আজ মঙ্গলবার দুপুরে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করলে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, আজ দুপুরে জেলা বিএনপির কার্যালয় থেকে নেতাকর্মীরা মিছিল বের করতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। একপর্যায়ে পুলিশ তাদের লাঠিপেটা করে। তখন পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে নেতাকর্মীরা। এ সময় পুলিশ এলোপাতাড়ি শটগানের গুলি ছোড়ে। এতে জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ ইলিয়াছসহ অন্তত ২০ জন গুলিবিদ্ধ হয়। পুলিশের গ্রেপ্তার আতঙ্কে আহত নেতাকর্মীরা শহরের বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছে।
সংঘর্ষের সময় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র জি কে গউছের সঙ্গে পুলিশের বাগ্বিতণ্ডা হয়। এ সময় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) এক সদস্য বলেন, ‘এই, এরে গাড়িতে উঠা। এরে মামলা দে।’
এক পুলিশ কর্মকর্তার বক্তব্যের জবাবে জি কে গউছ বলেন, ‘মনে রাখছি। আপনি আমারে কী শিখাইবেন?...হবিগঞ্জের পরিবেশ নষ্ট করার কোনো দরকার নাই।’
এ সময় খবর ছড়িয়ে পড়ে, মেয়র জি কে গউছকে আটক করা হয়েছে। এ খবরে নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এরপর বিএনপির তিন নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ।
মিছিলে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন হবিগঞ্জ জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ও রিচি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মিয়া মোহাম্মদ ইলিয়াছ। তিনি জানান, বিএনপির শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ বিনা উসকানিতে গুলিবর্ষণ করেছে। মিছিল শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ গুলি করতে শুরু করে। গুলি ও লাঠিপেটায় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের অন্তত একশ নেতাকর্মী আহত হয়েছে। তাদের অধিকাংশই গুলিবিদ্ধ হয়েছে।
এ ছাড়া পুলিশের গ্রেপ্তার আতঙ্কে কেউই হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়নি। যে যার সুবিধামতো গোপনে চিকিৎসা নিচ্ছে বলে জানান মিয়া মোহাম্মদ ইলিয়াছ।
তিনজনকে আটকের কথা নিশ্চিত করে হবিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াসিনুল হক জানান, পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ ৫৪টি গুলি করেছে।