গণফোরাম ছাড়লেন মফিজুল ইসলাম
দল থেকে সরে দাঁড়ালেন গণফোরামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য মফিজুল ইসলাম খান কামাল। আজ শনিবার সকালে নিজ বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এই ঘোষণা দেন। আপাতত কোনো রাজনৈতিক দলে যোগ দিচ্ছেন না বলেও এই বর্ষীয়ান নেতা জানান।
জানা যায়, মুক্তিযোদ্ধা মফিজুল ইসলাম খান কামাল ১৯৬৩ সালে বৃহত্তর ঢাকা জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ছিলেন। পরে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে ১৯৬৮ সালে জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হন। স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নিয়ে মুজিব বাহিনীর জেলা কমান্ডার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৩ সালে প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি মানিকগঞ্জ-সাটুরিয়া (মানিকগঞ্জ-৩) আসন থেকে নির্বাচিত হন। ১৯৭৩ সাল থেকে ৭৮ সাল পর্যন্ত তিনি মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ১৯৭৮ থেকে ৮১ সাল পর্যন্ত জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮১ সালে থেকে ৯২ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সমাজ কল্যাণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ড. কামাল হোসেন গণফোরাম গঠন করলে তিনি ওই দলে যোগ দেন। দল থেকে পদত্যাগের আগ পর্যন্ত মফিজুল ইসলাম খান কামাল গণফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মফিজুল ইসলাম খান কামাল বলেন, সরাসরি কোনো রাজনৈতিক দলে না থাকলেও রাজনীতি থেকে অবসরে যাচ্ছেন না তিনি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবীত হয়ে তিনি রাজনীতিতে যোগ দিয়েছিলেন বলে জানান। সন্ত্রাস, লুণ্ঠন, অন্যায় , অত্যাচার বন্ধ এবং মানবিকতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে বঙ্গবন্ধু বাকশাল গঠন করেছিলেন। জাতীয়ভাবে না হোক মানিকগঞ্জের পরিসরে সবাইকে ঐক্যবন্ধ করতে কাজ করে যাবেন বলে তিনি জানান।
আওয়ামী লীগে ফিরবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মফিজুল ইসলাম খান জানান, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৮১, ৮২ ও ৮৩ সালে তাঁর বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সঙ্গে তাঁর পরিবারের সুসম্পর্ক রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে গণফোরামের কোনো নেতা উপস্থিত না থাকলেও আওয়ামী লীগ, জাসদসহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এদের মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র গাজী কামরুল হুদা সেলিম, জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন জকি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসলাম খান বাবু, জেলা মহিলালীগের সাধারণ সম্পাদক লক্ষ্মী চ্যার্টাজি, অধ্যক্ষ আবুল ইসলাম শিকাদার, অধ্যক্ষ উর্মিলা রায়, পৌর সভার সাবেক সচিব আব্দুল আজিজ।