খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন ফিরিয়ে দিলেন বিচারক
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলার রায়ে কারান্তরীণ বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মানহানির একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন ফিরিয়ে দিয়েছেন বিচারক।
আজ বুধবার ঢাকার মহানগর হাকিম মো. আহসান হাবীব এ আবেদনটি ফিরিয়ে দেন এবং আগামী ১৪ মার্চ খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার করা গেল কি না সে মর্মে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য গুলশান থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে আজ সকালে মানহানির মামলায় বাদী জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী আদালতে খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন। ওই আবেদনের শুনানি হলে বিচারক বিকেলে আবেদনটি বাদীকে ফিরিয়ে দেন।
গত বছরের ১২ অক্টোবর বিএনপি চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন ঢাকা মহানগর হাকিম নুর নবীর আদালত।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করার পর ৭ নভেম্বর সিপাহি বিপ্লবের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব দখল করেন। জিয়াউর রহমান একজন মুক্তিযোদ্ধা হয়েও তিনি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে কলঙ্কিত করেছেন।
১৯৮১ সালের ১৭ মে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বদেশে ফিরে এলে জিয়াউর রহমান তাঁকে হুমকি ও অবরুদ্ধ করে রাখেন। এতে জিয়াউর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশ, স্বাধীনতার ইতিহাস হুমকিযোগ্য ও মানহানিকর অপরাধ করায় তাঁকে মামলায় মরণোত্তর আসামি করা হয়েছে।
অভিযোগে আরো বলা হয়, ২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে জোট করে নির্বাচিত হয়ে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তিনি স্বাধীনতাবিরোধীদের মন্ত্রী-এমপি বানিয়ে বাংলাদেশের মানচিত্র ও জাতীয় পতাকার সম্মান লঙ্ঘন করেছেন।
এদিকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার পাঁচ বছরের সাজা নিয়ে গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে আছেন খালেদা জিয়া। একই মামলায় বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ পাঁচ আসামিকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড এবং দুই কোটি ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন—মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী সলিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এঁদের মধ্যে তারেক রহমান, কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান পলাতক।