ভ্যালেন্টাইনস ডের আগে ‘ভালোবাসার জন্য’ স্কুলছাত্র খুন
সাতক্ষীরা শহরে এক স্কুলছাত্রকে পিটিয়ে খুন করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় আহত হয়েছে আরো এক ছাত্র। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সাতজনকে আটক করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে শহরের বাইপাস রোডে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত নাজমুস সাকিব (১৬) সাতক্ষীরা পুলিশ লাইনস স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র। সাকিবের বাবা পুলিশ কনস্টেবল নজরুল ইসলাম। তিনি কলারোয়া উপজেলার সরসকাটি পুলিশ ক্যাম্পে কর্মরত রয়েছেন। তাঁদের বাসা শহরের কামাননগর এলাকায়।
এ ঘটনায় আহত রাশেদকে (১৬) সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রাশেদের বাবা আবদুল আজিজ অবসরপ্রাপ্ত কনস্টেবল।
আহতের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, গতকাল রাতে নাজমুস সাকিব, রাশেদ ও শামীমুজ্জামান অমি শহরের বকচরায় ওয়াজ মাহফিল শুনতে যায়। সেখানে তাদের সঙ্গে শহরের কামাননগর কলোনির কাদের ও শান্তর ঝগড়া হয়।
রাত সাড়ে ১০টার দিকে সাকিব, রাশেদ ও অমি ওয়াজ থেকে ফেরার পথে শহরের বাইপাস রোডে দুর্বৃত্তরা তাদের ওপর হামলা করে। এ সময় অমি দৌড়ে পালিয়ে যায়।
হকিস্টিকের পিটুনিতে সাকিব ও রাশেদ গুরুতর আহত হয়। পরে দুর্বৃত্তরা সাকিবকে মৃত ভেবে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের সামনে ফেলে রেখে যায়। তাঁকে উদ্ধার করে জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ আহমেদ বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, নিহত সাকিবের সঙ্গে তার সহপাঠী কামাননগর গ্রামের এক ছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করেই বন্ধুদের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। সেই সূত্র ধরেই এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলাকারীদের চিহ্ণিত করার চেষ্টা চলছে।’
রাতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতজনকে আটক করেছে পুলিশ। তারা হচ্ছে শহরের কামাননগরের হাফিজুল ইসলাম (৬০), মেহেদি হাসান ফয়সল (১৫), শামীমুজ্জামান অমি (১৪), যুবায়ের হোসেন (১৮), রনি (১৮) ও শাহিনুর (২৪) ও ইটাগাছার আবু হাসান (৩৮)।