চট্টগ্রামে এসএসসির প্রশ্ন ফাঁস, ৩১ পরীক্ষার্থী বহিষ্কার
এসএসসি পরীক্ষার পদার্থ বিজ্ঞানের প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে চট্টগ্রাম নগরীর বাওয়া স্কুল কেন্দ্র থেকে ২৪ শিক্ষার্থী ও ফটিকছড়ির বনানী হেয়াকো কেন্দ্র থেকে সাত শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এর আগে এক শিক্ষকসহ ৫৬ শিক্ষার্থীকে আজ মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রামের একটি পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে আটক করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক জিল্লুর রহমান চৌধুরী জানান, একদিন আগে প্রশ্নফাঁসের এ খবর তারা জানতে পারেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে একটি বাস থেকে তাদের আটক করা হয়। এর আগে তাদের রেজিস্ট্রেশন নম্বর সংগ্রহ ও তাদের চিহ্নিত করে রাখা হয়। পরীক্ষার পর তাদের একটি রুমে নিয়ে আসা হয়। সেখানে কিভাবে প্রশ্নপত্র তাদের হাত এসেছে তা লিখিতভাবে নিয়ে ২৪ জনকে বহিষ্কার করা হয়। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে থাকা পটিয়া আইডিয়েল স্কুলের শিক্ষক কোহিনুর আকতারসহ নয় শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়। আটককৃতদের কাছ থেকে মোবাইল ও ট্যাব উদ্ধার করা হয়। তারা এক হাজার ২০০ টাকা দিয়ে মুঠোফোনের হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র কিনে সহপাঠীদের মধ্যে ছড়িয়ে মিলিয়ে নিয়েছে।
এসএসসি পরীক্ষার পদার্থ বিজ্ঞানের পরীক্ষায় অংশ নিতে পটিয়া আইডিয়েল স্কুলের ৫০ শিক্ষার্থী সকালে নগরীর বাংলাদেশ মহিলা সমিতি স্কুল অ্যান্ড কলেজের বাওয়া কেন্দ্রে আসে। হলে প্রবেশের কয়েক ঘণ্টা আগে তাদের মোবাইলে চলে আসে উত্তরসহ দিনের প্রশ্নপত্র। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের সহযোগিতার জন্য একজন শিক্ষককেও চিহ্নিত করা হয়।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মুরাদ আলী জানান, কিছু ছাত্র মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্র পরস্পরকে শেয়ার করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে নগরীর বাওয়া স্কুলকেন্দ্রের সামনে অবস্থান নেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরীক্ষার্থীরা হলে ঢোকার সময় তাদের সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। পরীক্ষা শুরুর পর দিনের প্রশ্নপত্রের সঙ্গে মোবাইলগুলোতে থাকা উত্তরপত্রসহ প্রশ্নপত্র মিলে যায়।
এদিকে চট্টগ্রামে এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপ্রত্র ফাঁসের অভিযোগ ফটিকছড়ি হেয়াকো বনানী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে সাত পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়।
পরীক্ষার আগে মোবাইলের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র নিয়ে ব্যবহার ও সহযোগীদের মধ্য বিলিয়ে দেওয়ার অভিযোগে তাদের বহিষ্কার করা হয়। পরে তাদের আটক করে পুলিশ।
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শওকত হোসেন জানান, মঙ্গলবার সকালে ফটিকছড়ি হেয়াকো বনানী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র পরীক্ষা দিতে আসার পর পুলিশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে চ্যালেঞ্জ করলে প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে ওঠে। পরীক্ষার পর অভিযুক্তদের আটক করে বহিষ্কার করা হয়।
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক সুমন বড়ুয়া জানান, নগরীর পুলিশ লাইন স্কুলকেন্দ্রের সামনে বাংলাদেশ মহিলা সমিতি স্কুলের দুই শিক্ষার্থীকে প্রশ্নপত্র দেওয়ার সময় এক অভিভাবককে তাড়া দেয়া হয়। পরে একটি মোবাইল উদ্ধার করে পুলিশ। সেখানে দুই শিক্ষার্থীর পরিচয় পাওয়া যায়।