সাবেক এমপি হাসান সরকারসহ সাতজন রিমান্ডে
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) হাসান উদ্দিন সরকারসহ সাত আসামির দুই দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুরে গাজীপুরের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. শহীদুল ইসলাম এই আদেশ দেন।
গাজীপুর আদালতের পরিদর্শক রবিউল ইসলাম জানান, বিশেষ ক্ষমতা আইন ও বিস্ফোরকদ্রব্য আইনের একটি মামলায় হাসান উদ্দিন সরকারসহ সাত আসামি জেলহাজতে ছিলেন। ওই মামলায় হাসান উদ্দিন সরকারসহ সাত আসামিকে মামলার ধার্য তারিখ আজ দুপুরে গাজীপুরের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় সাত আসামির উপস্থিতিতে তাদের ১০ দিনের রিমান্ড ও জামিনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. শহীদুল ইসলাম সব আসামির জামিন নামঞ্জুর করেন এবং প্রত্যেকের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন বোর্ডবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব আবদুর রহিম আল মাদানী (৩২), মো. আশাদুল্লাহ (৪৫), মোক্তার হোসাইন (২৭), আজিজুল হক (৪২), মো. হাসান উদ্দিন (৪৪) ও মো. সাত্তার মিয়া (৩৯)।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজ শেষে হাসান উদ্দিন সরকার টঙ্গীর আহসান উল্লাহ সরকার ইসলামিক কমপ্লেক্স থেকে বের হয়ে আসছিলেন। এ সময় টঙ্গী থানার পুলিশ হাসান উদ্দিন সরকারসহ চারজনকে আটক করে। অন্য তিনজনকে পৃথক স্থান থেকে আটক করে। পরে টঙ্গী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আবু বকর সিদ্দিক বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইন ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এরপর তাঁদের আদালতের মাধ্যমে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। মামলার ধার্য তারিখ আজ সকালে তাদের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে গাজীপুর কোর্টহাজতে আনা হয়। বেলা সাড়ে ১১টায় আদালতে হাজির করে পুলিশ। দুপুর ১২টায় কোর্ট পুলিশ কর্মকর্তা আদালতে মামলার নথি উপস্থাপন করেন। এ সময় হাসান সরকারসহ সাত আসামির উপস্থিতিতে তাদের ১০ দিনের রিমান্ড ও জামিনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
হাসান উদ্দিন সরকারের পক্ষে শুনানি করেন গাজীপুর বারের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মঞ্জুর মোর্শেদ প্রিন্স ও বারের সাবেক সভাপতি সিনিয়র আইনজীবী শহীদুজ্জামান।
শুনানি চলাকালে হাসান উদ্দিন সরকারের মুক্তির দাবিতে আদালতের বাইরে গাজীপুর জেলা ও মহানগর মহিলা দলের মানববন্ধন চলছিল। একই সঙ্গে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ দলীয় নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে জেলা বিএনপি কার্যালয়ে অবস্থান কর্মসূচি চলছিল জেলা বিএনপির।
হাসান উদ্দিন সরকারের আইনজীবী গাজীপুর বারের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মঞ্জুর মোর্শেদ প্রিন্স বলেন, হাসান উদ্দিন সরকার একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রবীণ রাজনীতিক। গাজীপুরে অর্ধশতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়াসহ জেলায় তাঁর অনেক অবদান রয়েছে। তাঁকে রাজনৈতিক কারণে হয়রানির উদ্দেশ্যেই মিথ্যা সাজানো ঘটনার মামলায় আসামি করা হয়েছে। আদালত রাজনৈতিক হয়রানির বিষয়টি বিবেচনায় না নিয়ে তাঁর জামিন না মঞ্জুর করে তাঁকে অন্যায়ভাবে রিমান্ড দিয়েছেন। আমরা উচ্চতর আদালতে তাঁর জামিন আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু করেছি।