চট্টগ্রামে পরীক্ষা শুরুর আগেই শিক্ষার্থীদের হাতে প্রশ্ন
চট্টগ্রামে চলমান মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষার পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের প্রশ্ন ফাঁসের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
আজ মঙ্গলবার সকালে নগরীর বাংলাদেশ মহিলা সমিতি স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রের সামনে থেকে ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রসহ ৫০ শিক্ষার্থী এবং এক শিক্ষককে আটক করা হয়।
জেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মুরাদ আলী জানান, পরীক্ষা দিতে বাওয়া স্কুল কেন্দ্রে আসার পথে নগরীর ওয়াসার মোড়ে অপেক্ষা করছিল পটিয়া আইডিয়াল স্কুলের ৫০ শিক্ষার্থী। তাদের মোবাইলে ছিল ফাঁস হওয়া প্রশ্নের অনুলিপি। শ্যামলী পরিবহনের একটি বাসে বসে তারা ফাঁস হওয়া ওই প্রশ্নপত্রের উত্তর মিলিয়ে নিচ্ছিল। সে সময় বিষয়টি জেলা প্রশাসনের নজরে পড়ে। বাসটিতে অভিযান চালিয়ে আট শিক্ষার্থীর মোবাইল ও ট্যাব থেকে উদ্ধার করা হয় পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ের প্রশ্নপত্র। পরীক্ষা শুরুর পর তা মিলিয়ে দেখা যায়, হুবহু ওই প্রশ্নেই হচ্ছে পরীক্ষা।
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক সুমন বড়ুয়া বলেন, ‘ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রের সঙ্গে প্রশ্নের হুবহু মিল রয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি ও প্রতিষ্ঠানের রেজিস্ট্রেশন বাতিলও হতে পারে।’
বাংলাদেশ মহিলা সমিতি স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ও পরীক্ষা কেন্দ্র সচিব আনোয়ারা বেগম জানান, এবার একটি কেন্দ্রে একাধিক স্কুলের পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের কারণে অন্যবারের চেয়ে কেন্দ্রে অস্থিরতা বেড়েছে বলে জানান তিনি।
এর আগে গতকাল সোমবার চট্টগ্রামের রাউজান থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে দুজনকে আটক করে র্যাব-৭। র্যাব জানায়, এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করে ফেসবুকের মাধ্যমে বিক্রি করে এবং বিকাশের মাধ্যমে সেই টাকা নিতো চক্রটি।