ফের সক্রিয় ভূমি কমিশন, রাঙামাটিতে বৈঠক
দীর্ঘদিন পর পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার রাঙামাটি সার্কিট হাউজে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আনোয়ার উল হক আবার নিয়োগ পাওয়ার পর এটাই ভূমি কমিশনের প্রথম সভা।
কমিশনের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. আনোয়ার উল হকের সভাপতিত্বে বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা সন্তু, চাকমা সার্কেল চিফ দেবাশীষ রায়, বান্দরবান বোমাং সার্কেল চিফ উ চ প্রু, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. আনোয়ার উল হক বলেছেন, ‘ভারত প্রত্যাগত শরণার্থীদের ভূমি প্রদানের মাধ্যমে ভূমি কমিশনের কাজ শুরু করব। এ ছাড়া রাঙামাটি ও বান্দরবানে দ্রুতই ভূমি কমিশনের দুটি শাখা অফিস খোলা হবে।’
চেয়ারম্যান বলেন, ‘কমিশন এখন কাজ শুরু করবে, শাখা অফিস অনুমোদিত হয়েছে, অফিসও ভাড়া নেওয়া হবে।’ কমিশনে প্রায় বাইশ হাজারেরও বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। অবৈধ বা আইন লঙ্ঘন করে দেওয়া ভূমি বন্দোবস্ত বাতিল হবে বলেও জানান তিনি।
অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আনোয়ার উল হক আরো বলেন, ‘ভূমি কমিশনের একটি খসড়া বিধিমালা সরকারের সক্রিয় বিবেচনায় রয়েছে এবং বিধিমালা প্রণয়নের জন্য আমরা সরকারের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি।’
চাকমা সার্কেল চিফ দেবাশীষ রায় বলেছেন, ‘জেলা ও নিজ নিজ সার্কেল অনুসারে সবকিছু ভাগ করে দেওয়া হবে তখন কাজ ছোট হয়ে আসবে এবং কাজও দ্রুত হবে। একই সাথে বিধিমালা প্রণয়নের কাজটিও দ্রুততর করতে হবে।’
পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা) ভূমি কমিশনের প্রবিধান দ্রুত প্রণয়নের দাবি জানিয়ে বলেন, ‘কমিশনের কাজ আরো তরান্বিত করা দরকার। প্রবিধান প্রণয়ন না হলে কাজ দ্রুত এগানো যাবে না। এ ছাড়া ভূমি কমিশনকে দ্রুত কার্যকর করতে লোকবলও নিয়োগ দিতে হবে। এটার দায়িত্ব সরকারের। এটা প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত আমরা কাজ এগিয়ে নিতে পারব না।’