‘সুরঞ্জিত কঠিন কথা সহজ করে বলতেন’
দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের মতো বর্ষীয়ান রাজনীতিকের প্রয়োজন ছিল বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। তিনি বলেন, ‘স্পষ্টভাষী সুরঞ্জিত হাস্যরসের মাধ্যমে অনেক কঠিন কথা সহজ করে বলতেন।’
আজ সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সামাজিক বিজ্ঞান ভবনে আয়োজিত সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ওই সভার আয়োজন করে জগন্নাথ হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ছিলেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অধিকার আদায়ে সোচ্চার।’ তাঁর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘স্পষ্টভাষী সুরঞ্জিত হাস্যরসের মাধ্যমে অনেক কঠিন কথা সহজ করে বলতেন।’
সভায় বক্তারা বলেন, অসীম সাহসী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের কথা ইতিহাস স্মরণ করবে শত-সহস্র বছর ধরে।
গত বছর ৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং প্রবীণ পার্লামেন্টারিয়ান সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেন। পরে এলএলবি ডিগ্রি সম্পন্ন করে আইন পেশায় নিযুক্ত হন।
নব্বই দশকে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত আওয়ামী লীগে যোগ দেন। এর আগে তিনি ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি ও একতা পার্টির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর রেলমন্ত্রী নিযুক্ত হন। যদিও ঘুষ কেলেঙ্কারির ঘটনার পর তিনি পদত্যাগ করেন। তবে প্রধানমন্ত্রী সেই পদত্যাগপত্র গ্রহণ না করে তাঁকে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী হিসেবে মন্ত্রিপরিষদে রাখেন। এর আগে ১৯৯৬ সালে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সংসদে সবসময় সরব এ সংসদ সদস্য একজন অভিজ্ঞ সংবিধান বিশেষজ্ঞ হিসেবে সুপরিচিত ছিলেন।