ভৈরব বিএনপির ৩৭ নেতা-কর্মীর আগাম জামিন
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে পুলিশের কর্তব্যকাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিন পেয়েছেন ভৈরব বিএনপির এজাহারভুক্ত ৪৫ জন নেতা-কর্মীর মধ্যে ৩৭ জন। আজ সোমবার দুপুরে বিচারক কে এম ওবায়দুর রহমান ও কৃষ্ণা দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চে হাজির হয়ে তাঁরা জামিন প্রার্থনা করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
ছয় সপ্তাহ পর কিশোরগঞ্জের সেশন জজ কোর্টে হাজির হওয়ার আদেশ দিয়ে এর মধ্যে তাঁদের হয়রানি না করতে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিএনপি নেতাকর্মীদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান।
ওই মামলায় ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার হওয়া কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজাহারুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক হাজি ইসরাইল, ভৈরব উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ভিপি বাহার উল ইসলাম বাহার ও জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক তারিকুজ্জামান পার্নেল জেলহাজতে রয়েছেন। অপর দুই নেতা দেশের বাইরে থাকায় এই প্রক্রিয়ায় তাঁদের জামিন আবেদন করা যায়নি বলে সূত্র জানিয়েছে।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গত ৫ ফেব্রুয়ারি সড়কপথে সিলেটে দুই ওলির মাজার জিয়ারত করতে যান। পথে ভৈরবে তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে আসা বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টাযাওয়ার ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় পুলিশের লাঠিপেটা ও কাঁদানে গ্যাসের শেলের জবাবে নেতাকর্মীরা ইটপাটকেল ছুঁড়ে মারে। এতে তিন পুলিশ কর্মকর্তা আহত হন। কমপক্ষে ১৫ নেতা-কর্মী আহত হন বিএনপির।
এ ঘটনায় পুলিশের কর্তব্য কাজে বাধা, পুলিশ আহত ও নাশকতা চেষ্টার অভিযোগ এনে ভৈরব উপজেলা বিএনপি সভাপতি মো. রফিকুল ইসলামকে প্রধান করে ৪৫ নেতাকর্মীর নাম এজাহারভুক্ত করে ভৈরব থানায় একটি মামলা করেন উপপরিদর্শক (এসআই) অভিজিৎ চৌধুরী।