আ.লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন নিহত
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়েছে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে সুমন নামের একজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন পাঁচ পুলিশ সদস্যসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি। এ সময় পুলিশ ৩০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রূপগঞ্জের কাঞ্চন-কুড়িল বিশ্বরোডে কায়েতপাড়া ইউনিয়নের হাবিবনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় কামাল, জয়নালসহ কয়েকজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মামলার রায়কে কেন্দ্র করে সকাল থেকে কাঞ্চন-কুড়িল বিশ্বরোডে উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের হাবিবনগর এলাকায় স্থানীয় সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী এবং কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের সমর্থকরা অবস্থান নেন। অল্প দূরত্বে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের নেতাকর্মীরা অবস্থান করায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া শুরু হয়। এ সময় এশিয়ান হাইওয়ে (বাইপাস) সড়কের উভয় দিকে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েকশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ও শটগানের গুলি ছোড়ে। এ সময় পাঁচ পুলিশ সদস্য ও সাংবাদিকসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। পুলিশ ৩০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
আহতদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ সুমন, কামাল, জয়নালসহ কয়েকজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুমনের মৃত্যু হয়।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মঈনুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী ও কায়েতপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছে। এ নিয়ে উভয়পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে এর আগেও কয়েক দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।