এসএসসির ইংরেজি পরীক্ষা শুরুর আগেই প্রশ্ন মুঠোফোনে!
আজ সোমবার ছিল এসএসসির ইংরেজি প্রথম পত্রের পরীক্ষা। সকাল ১০টায় পরীক্ষা শুরুর আধা ঘণ্টা আগে মুঠোফোনে ওই বিষয়ের প্রশ্নপত্রসহ একটি কোচিং সেন্টারের দুই শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার সিংগাইর পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের পরীক্ষাকেন্দ্রে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে পাবলিক পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে।
আটক দুজন হচ্ছেন সিংগাইর উপজেলার গোলড়া এলাকার রুবেল হোসেন ও সানাইল এলাকার শরিফুল ইসলাম।
রুবেল হোসেন মানিকগঞ্জ সরকারি দেবেন্দ্র কলেজ থেকে ব্যবস্থাপনা বিষয়ে এবং একই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শরিফুল রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। দুজনেই সিংগাইর উপজেলার বায়রা ইউনিয়নের চারাভাঙ্গা ফ্রেন্ডস কোচিং সেন্টারে শিক্ষকতা করেন।
জানা গেছে, আজ সকালে পরীক্ষা শুরুর আগে রুবেল হোসেন ও শরিফুল ইসলামকে সন্দেহজনকভাবে পরীক্ষা কেন্দ্রের সামনে ঘুরাফেরা করতে দেখে সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) চ্যালেঞ্জ করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। একপর্যায়ে তাঁদের দেহ তল্লাশি করে গাইড বই ও একটি স্মার্ট ফোন পাওয়া যায়। পরে জব্দ করা মোবাইল ফোনে পাওয়া যায় ইংরেজি প্রথম পত্র পরীক্ষার প্রশ্ন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সিংগাইরের ইউএনও মো. যুবায়ের হোসেন জানান, আটক দুজনকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোন্দকার ইমাম হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটকৃতদের বিরুদ্ধে পাবলিক পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে। তিনি জানান, তদন্ত করে দেখা হচ্ছে এরা প্রশ্নপত্র কোথা থেকে পেল এবং এদের সঙ্গে জড়িত কারা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক নাজমুস সাদাত সেলিম বলেন, মোবাইল ফোনে পাওয়া প্রশ্নপত্রের সঙ্গে পরীক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্রের মিল পাওয়া গেছে। বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।
এদিকে একই দিন ওই কেন্দ্র থেকে ১২ শিক্ষার্থীকে অসদুপায়ের জন্য বহিস্কার করা হয়েছে বলে কেন্দ্র সচিব সিংগাইর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেন জানিয়েছেন।
এদের মধ্যে কয়েকজন আটক দুই শিক্ষক যে কোচিং সেন্টারে শিক্ষকতা করেন সেই কোচিং সেন্টারের ছাত্র বলে জানা গেছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেন জানিয়েছেন।
ফ্রেন্ডস কোচিং সেন্টারের পরিচালক মনোয়ার হোসেন জানান, আটককৃত রুবেল হোসেন ও শরিফুল ইসলাম ইংরেজি বিষয়ে পড়ান। তবে প্রশ্নপত্রসহ তাদের আটকের বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। পরীক্ষাকেন্দ্রে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা তাঁর কোচিং সেন্টারের ছাত্র কিনা তাও নিশ্চিত করতে পারেননি।