প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় তৈরি হলো কাঠের সেতু
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার রসুল্লাবাদ গ্রামে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় লক্ষাধিক মানুষের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে একটি কাঠের সেতু। গতকাল শনিবার বিকেলে ২০০ ফুট লম্বা ও সাড়ে তিন ফুট প্রশস্ত এই সেতুর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। নানা রঙের বেলুন দিয়ে এ দিন সাজানো হয় সেতুটি।
ইউনিয়নের রসুল্লাবাদ ইউ. এ খান উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি ’৯৭ ব্যাচের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে ও এলজি ইলেকট্রনিক্স বাংলাদেশের অর্থায়নে এই সেতু নির্মাণ করা হয়।
এতে নবীনগরের দুটি ইউনিয়নের ১২টি গ্রামের লক্ষাধিক মানুষের শিক্ষা, চিকিৎসা, কৃষিসহ যাতায়াতের ক্ষেত্রে যে দুর্ভোগ ছিল তা কিছুটা হলেও লাঘব হবে।
স্থানীয় লোকজন জানান, কয়েক যুগ ধরে তিতাস নদীর ওপর দিয়ে পারাপার হতে বর্ষা ও শুষ্ক মৌসুমে নৌকা ছিল এলাকাবাসীর একমাত্র অবলম্বন। এখন কাঠের সেতু হওয়ায় কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন তাঁরা। কৃষির ওপর নির্ভরশীল লোকজন তাদের উৎপাদিত ফসলাদি বাজারে আনা নেওয়ার ক্ষেত্রেও অনেক কষ্ট করতে হয়। তাই এ অঞ্চলের মানুষের চলাচলের সুবিধাসহ জীবনমান উন্নয়নের জন্য সেতুটি স্থায়ীভাবে নির্মাণের দাবি জানান তাঁরা।
স্কুলশিক্ষার্থী লাবুল মিয়া বলেন, ‘প্রায় সময় স্কুলে যেতে হলে আমাদের বইখাতা পানিতে পড়ে যেত। বর্ষা মৌসুম এলে দুর্ভোগ আরো বেশি হতো। ব্রিজ হওয়াতে আমাদের এখন স্কুলে যেতে সমস্যা হবে না।’
আরেক শিক্ষার্থী মারুফ হোসেন চলাফেরার জন্য আপাতত ব্যবস্থা হলেও ব্রিজটি স্থায়ীভাবে নির্মাণের জোর দাবি জানান।
প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের এই সহযোগিতায় ধন্যবাদ জানান স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আলী আকবুর।
স্থায়ীভাবে ব্রীজটি নির্মানের জন্য চেষ্টা অব্যাহত আছে। শুধু আর্থিক অনুদানের বরাদ্দ পেলেই দরপত্র আহবান করা হবে বলে জানান নবীনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ইঞ্জিনিয়ার শফিকুল ইসলাম।
গতকাল উদ্ধোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নবীনগর উপজেলা চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার শফিকুল ইসলাম। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের এপিপি অ্যাডভোকেট সালাউদ্দিন, রসুল্লাদ ইউপি চেয়ারম্যান আলী আকবর, এনটিভির সিনিয়র রিপোর্টার হাসান জাবেদ সহ গ্রামের গণমান্য ব্যক্তিবর্গ ছাড়াও ৯৭ ব্যাসের শিক্ষার্থীরা। পরে অতিথিবৃন্দ কাঙ্ক্ষিত এই ব্রীজটির উদ্বোধন করেন।