ঘুষের টাকা ফেরত চাওয়ায় যুব মহিলা লীগের নেত্রীকে পিটুনি!
ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলায় ঘুষের টাকা ফেরত চাওয়ায় যুব মহিলা লীগের এক নেত্রীকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী আফরোজা আক্তার লাইজুর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে।
এই হামলার প্রতিবাদে আজ রোববার সকাল ১০টার দিকে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনের সড়কে মানববন্ধন করা হয়। মানববন্ধনে আফরোজা আক্তার লাইজুর বিচার দাবি করা হয়।
মানববন্ধনে হামলার শিকার উপজেলা যুব মহিলা লীগের সহসভানেত্রী ডলি আক্তারের পরিবারসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেয়। বক্তব্য দেন ডলির মা বকুল বেগম, স্বজন শিরিন সুলতানা ও মরিয়ম বেগম।
বক্তারা অভিযোগ করেন, রাজাপুর উপজেলার পুখরিজানা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরি কাম নৈশপ্রহরী পদে বাইপাস সড়কের বাসিন্দা ও যুব মহিলা লীগের নেত্রী ডলির ভাই আল আমিন খানকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে চার লাখ টাকা ঘুষ নেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান লাইজু। টাকা নিলেও আল আমিনকে চাকরি না দিয়ে রহমান নামের একজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। পরে টাকা ফেরত চাইলেও তা দিচ্ছিলেন না লাইজু।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজাপুর থানার মধ্যে বসে লাইজুর কাছে ঘুষের টাকা ফেরত চান ডলি। লাইজু টাকা ফেরত না দিয়ে উল্টো লোকজন নিয়ে তাঁকে মারধর করেন। এতে গুরুতর আহত হন ডলি আক্তার। তাঁকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মারধর ও ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা আক্তার লাইজু। তিনি জানান, তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছেন ডলি। ডলি নিজেই অন্যের টাকা নিয়ে পরিশোধ করছেন না বলে পাল্টা অভিযোগ করেন তিনি।
এদিকে থানার মধ্যে মারধরের কথা অস্বীকার করেছেন রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুল আরেফিন। তিনি এনটিভি অনলাইনকে বলেছেন, বৃহস্পতিবার থানার মধ্যে কোনো মারামারির ঘটনা ঘটেনি। তবে যুব মহিলা লীগের নেত্রী ডলি আক্তার তাঁকে মারধরের অভিযোগে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অপর দিকে শিরীন নামের একজন ডলি আক্তারের বিরুদ্ধে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়ে বলেছেন, ডলি তাঁর স্বামীকে বিদেশে পাঠানোর কথা বলে পাঁচ লাখ টাকা নিলেও এখনো বিদেশে পাঠাননি। টাকাও ফেরত দিচ্ছেন।
ওসি জানান, দুটি অভিযোগের তদন্ত চলছে।