যে কারণে ভারতে পাচার হচ্ছে দুই টাকার নোট
ভারতে পাচারকালে বেনাপোল চেকপোস্টের আন্তর্জাতিক যাত্রী টার্মিনাল থেকে আজ শনিবার সকালে একটি পরিত্যক্ত স্কুলব্যাগ থেকে ২৩ হাজার নতুন দুই টাকার নোট জব্দ করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। যার দাম ৪৬ হাজার টাকা।
বিজিবির ৪৯ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফুল হক জানান, বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে বিপুল বাংলাদেশি দুই টাকার নতুন নোট পাচার হয়ে ভারতে যাচ্ছে- এমন ধরনের গোপন সংবাদ পেয়ে বিজিবির একটি দল আন্তর্জাতিক যাত্রী টার্মিনাল এলাকায় অভিযান চালিয়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৪৬ হাজার টাকার নতুন দুই টাকার নোট উদ্ধার করে।
উদ্ধার করা টাকা বেনাপোল বন্দর থানায় জমা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় বেনাপোল পোর্ট থানায় একটি মামলা হয়েছে।
এর আগে গত বছরের ৪ ডিসেম্বর বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট নো ম্যানস ল্যান্ড এলাকা থেকে স্কুলব্যাগভর্তি ৪৫ হাজার টাকা মূল্যমানের বাংলাদেশি পাঁচ টাকার নতুন নোট উদ্ধার করে বিজিবি। এর আগে ১০ নভেম্বর বেনাপোল চেকপোস্টে ইউসুফ আলী (৫০) নামের এক ভারতীয় নাগরিককে আটক করেন বিজিবি সদস্যরা। ওই সময় ইউসুফের ব্যাগ তল্লাশি করে বাংলাদেশি দুই টাকার নতুন নোট জব্দ করা হয়, যার মূল্য ছিল ৪১ হাজার ৬০০ টাকা। এর আগে গত বছরের ২৫ এপ্রিলে ৬০ হাজার টাকার পাঁচ টাকার নতুন নোটের একটি বড় চালান পাচারের সময় আটক করে বিজিবি।
বিজিবি কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফুল হক জানিয়েছেন, ভারতে হেরোইন ও ইয়াবা সেবনের জন্য বাংলাদেশের দুই ও পাঁচ টাকার নতুন নোট পাইপ বানিয়ে ব্যবহার করা হয়। এই টাকার নোটগুলো অপেক্ষাকৃত বেশি শক্ত। আগে সিগারেটের মোড়কের মধ্যে রাংতা দিয়ে এই মাদক সেবন করা হতো। দুই ও পাঁচ টাকার নোট দিয়েই এসব মাদক সেবন ভারতে এখন বেশ জনপ্রিয়।
এই নতুন নোট ভারতে পাচারের জন্য বেনাপোল সীমান্তে একটি শক্তিশালী চক্র গড়ে উঠেছে। আর এরাই ঢাকা থেকে এসব নোট সংগ্রহ করে। পরে ভারতে পাচার করে। বেনাপোল সীমান্তকে নিরাপদ মনে করে এই পথেই নোটগুলো পাচার করা হয়। দ্বিগুণ দামে এসব নোট বিক্রি হচ্ছে বলেও জানা যায়। একটি দুই টাকার নোট চার টাকা থেকে পাঁচ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়।