জয়পুরহাটে আ. লীগের সভাপতি সম্পাদকের বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল
একাত্তরের ঘাতক-দালালদের বংশধর হওয়ার অভিযোগ তুলে জয়পুরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও কালাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিনফুজুর রহমান মিলনসহ কমিটির তিন নেতাকে দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
এই ঘটনার প্রতিবাদে আজ সোমবার বিকেলে জয়পুরহাটে সংবাদ সম্মেলন করেছে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনায়ন পেয়ে নির্বাচিত জেলার পাঁচ পৌরসভার মেয়র ও ২১ জন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান।
সংবাদ সম্মেলনে জনপ্রতিনিধিদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পড়েন আক্কেলপুর উপজেলার রুকিন্দিপুর ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা আহসান কবির অ্যাপ্লব।এ সময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন কালাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিনফুজুর রহমান মিলন, দোগাছি ইউপি চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম, পাঁচবিবি পৌরসভার মেয়র হাবিবুর রহমান হাবিব প্রমুখ।
আওয়ামী লীগের জনপ্রতিনিধি এ তিন নেতাকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্তকে ‘অবৈধ, অগঠনতান্ত্রিক ও বেআইনি আখ্যায়িত করে তাঁরা বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নিঃশর্ত ক্ষমা না চাইলে যেখানেই এ দুই নেতা সভা-সমাবেশ করবে তা প্রতিহত করা হবে বলে ঘোষণা দেন তারা।
এদিকে একই দাবিতে আজ সকাল থেকে জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর, ক্ষেতলাল, পাঁচবিবি ও জয়পুরহাট শহরে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা ঝাড়ু মিছিল বের করেন। তারা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কুশপুত্তলিকা দাহ করেন।
গত শনিবার জয়পুরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সামছুল আলম দুদুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জেলা আওয়ামী লীগের এক জরুরি সভায় একাত্তরের ঘাতক ও তৎকালীন শান্তি কমিটির সদস্যের ছেলে ও নাতি প্রমাণিত হওয়ায় জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিনফুজুর রহমান মিলন, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও কালাই উপজেলার পুনট ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল কুদ্দুস ফকির এবং মাত্রাই ইউপি চেয়ারম্যান আ. ন. ম. শওকত হাবিব লজিককে দল থেকে অব্যাহতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।