বিসিএস পরীক্ষার্থীর ‘আত্মহত্যা’, স্বামী আটক
শরীয়তপুরের সদর উপজেলায় এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গেছে। তাঁর নাম নাহিদার আক্তার। তিনি সর্বশেষ গত শুক্রবার ৩৮তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অংশ নিয়েছিলেন।
এ ঘটনায় নাহিদার স্বামী সফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পালং মডেল থানা পুলিশ। লাশ ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে সফিকের শরীয়তপুরের ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের পরিবার ও পালং থানা সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল জেলার আগৈলঝারা উপজেলার জয়রাম পট্টি গ্রামের বাসিন্দা সফিক। তিনি এসিআই ফার্মা নামে এক ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি হিসেবে শরীয়তপুরে কর্মরত ছিলেন। তিন বছর আগে একই জেলার গৌরনদী উপজেলার মাহিলারা গ্রামের নাহিদা আক্তারের সঙ্গে সফিকের বিয়ে হয়।
এরপর থেকে সফিক ও নাহিদার মধ্যে কলহ চলে আসছিল। নাহিদা অধিকাংশ সময় বাবার বাড়ি থাকতেন। গত শুক্রবার ৩৮তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা শেষ করে শরীয়তপুর পুলিশ সুপার কার্যালয় সংলগ্ন স্বামী সফিকুল ইসলামের ভাড়া বাসায় যান নাহিদা। বাসায় তিনি না থাকায় মোবাইল ফোনে তাদের কথা হয়। এক পর্যায়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে নাহিদা ঘরে থাকা রক্তের চাপ নিয়ন্ত্রণ করার (টেনোক্যাব) নামের অতিরিক্ত ওষুধ সেবন করেন। এতে নাহিদার রক্তচাপ শূন্য (০) নেমে যায়। এ সময় প্রতিবেশীরা তাকে সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। শনিবার রাত ১০টার দিকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নাহিদার মৃত্যু হয়। আজ রোববার লাশের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনার পর নাহিদার বাবা জাকির হোসেন শিকদার বাদী হয়ে আত্মহত্যার প্ররোচনার একটি মামলা করেছে। পালং মডেল থানা পুলিশ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সফিককে গ্রেপ্তার করেছে।
শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে মেডিকেল অফিসার ডা. সুমন কুমার পোদ্দার বলেন, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি রাসায়নিক বিষক্রিয়ায় তার মৃত্যু হয়েছে। ভিসেরা প্রতিবেদনের জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ জানাবে। তবে মরদেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
পালং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত সফিককে আটক করা হয়েছে।