জনগণের ভোটের অধিকার নেই : মোশাররফ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘জনগণের ভোটের অধিকার নেই। ২০১৪ সালে ভোট দিতে পারে নাই। এরপর যত স্থানীয় সরকার নির্বাচন হয়েছে, জনগণ একটাতেও ভোট দিতে পারেনি। জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা আমাদের সামনে চ্যালেঞ্জ।’
আজ বুধবার বরিশালে নগরীর অশ্বিনীকুমার হলে বরিশাল মহানগর বিএনপির কর্মিসভায় এসব কথা বলেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের নেত্রীকে ভিত্তিহীন মামলায় সাজা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।’
খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘শেখ হাসিনা ২০১৪-এর আগে বলেছিলেন এ নির্বাচন হবে নিয়মরক্ষার নির্বাচন। এ নির্বাচন হবে সংবিধান রক্ষা করার নির্বাচন। কিছুদিনের মধ্যে আমি সকলের অংশগ্রহণে এমন নির্বাচন দিব যা সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হয়। এদেশের জনগণকে বলেছেন, আমাদের বন্ধুরাষ্ট্রগুলোকে বলেছেন। আমরা জনগণ এবং আমাদের বন্ধুরাষ্ট্র সবাই প্রতারিত হয়েছি। শেখ হাসিনা ধোঁকা দিয়েছেন। জনগণ তা মেনে নেবে না। বারবার প্রতারণা করা যায় না।’
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘৫ জানুয়ারির নির্বাচন আর হতে দেওয়া যাবে না। এর জন্য বিএনপির নেতাকর্মীরা সবাই প্রস্তুত রয়েছেন। যে কোনো মূল্যে বর্তমান সরকারের এই ষড়যন্ত্র রুখতে হবে।’
খন্দকার মোশাররফ আরো বলেন, পাকিস্তার আমল থেকে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত এমন কোনো মামলা নেই যাতে আদালতে তিনবার হাজির হতে হয়। কিন্তু বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত মামলা করে তাঁকে বারবার আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হচ্ছে। এই মামলায় যদি বেগম খালেদা জিয়ার সাজা হয়ে যায় তাহলে জনগণ বুঝে নেবে এই বিচার কার্যক্রমের পেছনে কোনো অশুভ শক্তির হাত রয়েছে।
এ সময় বিএনপি নেতা আরো বলেন, ‘বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলাসহ ১৫টি মামলা চলমান ছিল। যা ক্ষমতায় আসার পর হাইকোর্ট থেকে মামলাগুলো থেকে খারিজ পান তিনি। আর অন্যদিকে সারা বাংলাদেশে আমাদের শীর্ষস্থানীয় নেতা থেকে তৃণমূল নেতাকর্মীরা আদালতের যেতে যেতে ক্লান্ত।’
কর্মিসভায় কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও বরিশাল মহানগর বিএনপির সভাপতি মজিবর রহমান সরোয়ারের সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন, সহসাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবুল হক নান্নু, বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র আহসান হাবিব কামাল, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি এবায়দুল হক চান, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম শাহীন, উত্তর জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউদ্দিন শিকদার প্রমুখ।