যশোরের কেশবপুর উপজেলায় কৃষিজমিতে ইটভাটা নির্মাণের প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছে এলাকার জনগণ। উপজেলার বারুইহাটি, ভালুকঘর ও কাস্তা গ্রামের শতাধিক কিষান-কিষানি আজ মঙ্গলবার বিকেলে থানায় এসে ইটভাটা মালিক মো. সিদ্দিকুর রহমানের বিচার দাবি করেন। গ্রামবাসী প্রায় এক ঘণ্টা থানায় অবস্থানের পর একটি অভিযোগ দেন।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ইটভাটা মালিক মো. সিদ্দিকুর রহমান ও একাধিক নাশকতা মামলার আসামিসহ আট-নয়জন সন্ত্রাসী তাদের বিভিন্ন মামলায় জড়িয়ে দেওয়াসহ নিয়মিত জীবননাশের হুমকি দিয়ে আসছেন।

এরপর থানায় অবস্থানকারী কিষান-কিষানিরা কেশবপুর শহরে মানববন্ধন করতে চাইলেও পুলিশ দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে তাঁরা চলে যান।

এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে প্রথমে মোবাইলে কোনো কথা বলতে রাজি হননি ইটভাটা মালিক সিদ্দিকুর রহমান। পরে তিনি বলেন, ইটভাটা নির্মাণের কাগজপত্রসহ লাইসেন্স করার কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তিনি পাল্টা অভিযোগে বলেন, এলাকার কৃষকরা তাঁর কাছে চাঁদা দাবি করছে। তিনি এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করেছেন। বর্তমানে দুই পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান করছে।

থানায় উপস্থিত নার্গিস বেগম জানান, ইটভাটা নির্মাণ করছেন সিদ্দিকুর রহমান। তিনি এলাকার শান্তিপ্রিয় কৃষকদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন মামলার হুমকি দিয়ে জোর করে ভাটা নির্মাণ কাজ করে চলেছেন।

ইটভাটা মালিকের ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের ভয়ে তাঁদের স্বামীরা বাড়ি থাকতে পারছেন না বলে জানান থানায় উপস্থিত সেলিনা খাতুন। গ্রামের কৃষক নূর আলী জানান, গত বছর তাঁদের ওপর হামলা করে কয়েকজনকে গুরুতর আহত করেছিল ইটভাটা মালিকের লোকজন।

এ ঘটনা জানতে চাইলে কেশবপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুর রহমান জানান, কৃষকদের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইটভাটা মালিকের পক্ষে একাধিক নাশকতা মামলার আসামি মিজানুর রহমান রয়েছে বলে তিনি প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছেন।

গ্রামবাসী জানায়, তারা বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছে। যে কোনো সময় বড় ধরনের সংঘর্ষ হওয়ার আশঙ্কা করছে তারা।