ছয় নারীকে ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ, সেই ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার
শরীয়তপুরে ছয় নারীকে ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ ও সেসব দৃশ্য গোপনে ভিডিও করার অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতা আরিফ হোসেন হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শরীয়তপুরের গোসাইরহাট সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) থান্দার খায়রুল হাসান আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে গোসাইরহাট উপজেলার সইক্কা ব্রিজ এলাকা থেকে আরিফকে গ্রেপ্তার করেন।
আরিফ ভেদরগঞ্জ উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের বহিষ্কার হওয়া সাধারণ সম্পাদক।
এএসপি থান্দার খায়রুল হাসান বলেন, আরিফ চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ থেকে ট্রলারে করে গোসাইরহাট আসছিলেন। তিনি তাঁর বাবা ও মামার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করেছিলেন। ওই ফোনের কল ট্র্যাকিং করে তাঁর অবস্থান নিশ্চিত করা হয়। পদ্মা ও মেঘনা নদী পার হয়ে জয়ন্তিয়া নদীতে ট্রলার নিয়ে প্রবেশ করলে পুলিশ ঘেরাও দিয়ে আরিফকে গ্রেপ্তার করে। তাঁকে ভেদরগঞ্জ থানায় নেওয়া হচ্ছে। পরে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।
আরিফ ভেদরগঞ্জের নারায়ণপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তাঁর বাড়ি ফেরাঙ্গিকান্দি গ্রামে। তিনি স্থানীয় একটি কলেজের স্নাতক শ্রেণির ছাত্র। ফাঁদে ফেলে ছয় নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। গত ১৫ অক্টেবর ছয় নারীকে ধর্ষণের দৃশ্যর ভিডিও ও ছবি মানুষের হাতে ছড়িয়ে পড়ে। ১৭ অক্টোবর থেকে স্থানীয় বিভিন্ন মানুষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তা ছড়িয়ে দেন। অভিযোগ পেয়ে ১৯ অক্টোবর ভেদরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগ আরিফকে বহিষ্কার করে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় ১১ নভেম্বর জেলা ছাত্রলীগ আরিফকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে। গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে ভুক্তভোগী এক নারী আরিফের বিরুদ্ধে ভেদরগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলাটি করা হয়।