রংমিস্ত্রির হাতে গেল প্রাণ!
রংমিস্ত্রির হাতেই খুন হয়েছিলেন নওগাঁ শহরের জীবন নেছা মিনি চৌধুরী (৫৫)। টাকা লুট করতেই মিনিকে হত্যার পরিকল্পনা করেন চঞ্চল নামের রংমিস্ত্রি। গতকাল রোববার দিবাগত রাতে চঞ্চল (১৯) ও সোহাগকে (২১) আটক করে পুলিশ।
আজ সোমবার পুলিশ এসব তথ্য দিয়েছে। চঞ্চল ও সোহাগ পুলিশের কাছে ১৬১ ধারায় এবং নওগাঁর মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গত ৬ ডিসেম্বর নিজ বাড়ির রান্নাঘর থেকে উদ্ধার করা হয় মিনি চৌধুরীর লাশ। তিনি রানীনগর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান কে সি মশিউর রহমান বাচ্চুর স্ত্রী। স্বামী মশিউর মারা যাওয়ার পর ওই বাড়িতে একাই থাকতেন তিনি।
পুলিশ জানায়, চঞ্চল মিনি চৌধুরীর বাসায় দুদিন ধরে রঙের কাজ করেন। মিনি চৌধুরীর লাশের পাশেই মেলে ধারালো অস্ত্র, এক জোড়া জুতা ও সাইকেল। নওগাঁ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম জানান, ওই সাইকেল ও জুতার সূত্র ধরেই চঞ্চল ও সোহাগকে আটক করা হয়।
চঞ্চল ও সোহাগ উভয়ই বগুড়ার আদমদিঘী উপজেলার অন্তাহার গ্রামের বাসিন্দা।
ওসি তরিকুল ইসলাম জানান, বাড়িতে রং করার সময়ই টাকা লুট করার পরিকল্পনা করেন ওই দুজন। রং করার কাজ শেষ হয় গত ২ ডিসেম্বর। কিন্তু গত ৬ ডিসেম্বর সোহাগকে নিয়ে আবার ওই বাড়িতে যান চঞ্চল।
পরে রান্নাঘরে মিনি চৌধুরীকে গলা কেটে হত্যা করেন চঞ্চল ও সোহাগ। এ সময় মিনি চৌধুরী চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন জড়ো হতে থাকে। এ সময় দ্রুত ওই বাড়ি থেকে পালান ওই দুজন।
ওসি তরিকুল জানান, এ সময় চঞ্চল তাঁর সাইকেল ও জুতা ফেলে যান। পুলিশ ওই সাইকেল ও জুতা পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয় যে, এটি রংমিস্ত্রির কাজ।