সেই প্রকৌশলী ‘ভয়ে’ ঢাকায়, দুই নেতা ‘পলাতক’
নরসিংদীর শিবপুরে প্রকৌশলীকে মারধরের ঘটনার পাঁচদিন অতিবাহিত হলেও এখনও গ্রেপ্তার হননি শিবপুর পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি খোকন ভূঁইয়া ও উপজেলা বিএনপির কার্যকরী সদস্য আমজাদ হোসেন ওরফে খয়ার আমজাদ।
অভিযোগ উঠেছে, মামলা তুলে নিতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) উপ-সহকারী প্রকৌশলী কাজী মো. লুৎফর রহমানকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ওই প্রকৌশলী বর্তমানে কর্মস্থলে নেই। তিনি জানান, ভয়ে ঢাকায় অবস্থান করছেন তিনি।
এ ছাড়া অভিযোগ উঠেছে ওই মারধরের ঘটনা নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় দৈনিক আমাদের সময়ের নরসিংদী প্রতিবেদক শাহীন মিয়াসহ তিন সাংবাদিককে হুমকি দিয়েছে খোকন ও আমজাদের লোকজন। এ ঘটনায় সাংবাদিকরা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
গত বুধবার শিবপুর উপজেলা প্রকৌশলীর কার্য্যালয়ে ‘নিম্নমানের কাজ’ করায় বিল কেটে দেন প্রকৌশলী লুৎফর। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কাজী মো. লুৎফর রহমানকে মেসার্স শান্তা এন্টারপ্রাইজের ঠিকাদার ও পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি খোকন ভূঁইয়া ও তাঁর ব্যবসায়িক অংশীদার বিএনপি নেতা আমজাদ হোসেন ওরফে খয়ার আমজাদ পিটিয়ে আহত করেন।
ওই খবর ছড়িয়ে পড়লে উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতার বিচারে দাবীতে রাস্তায় নেমে আসেন উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
বুধবার রাতেই ওই দুই নেতাকে আসামি করে মামলা করা হয় শিবপুর মডেল থানায়। মামলার আসামিরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় ফলে ক্ষোভ বিরাজ করছে উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে।
মামলার বাদী এলজিইডির উপ-সহকারি প্রকৌশলী কাজী মো. লুৎফর রহমান বলেন, ‘আমাকে প্রতিনিয়তই বিভিন্ন ভাবে ফোন করে মামলা তুলে নিতে হুমকি প্রদান করা হচ্ছে। আসামি এখনও এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরাফেরা করছে। কিন্তু পুলিশ তাকে খোঁজে পাচ্ছে না। আমি এখন ভয়ে ঢাকা অবস্থান করছি।’
শিবপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দুজ্জামান বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি আসামিদের ধরতে তাঁদের বাসায় অভিযান চালিয়েছি। তাঁরা পলাতক। আমাদের টিম চারদিকে কাজ শুরু করেছে। তাঁদের দ্রুতই আমরা গ্রেপ্তার করতে পারব।’