বিলে অসন্তোষ, তাই এলজিইডির প্রকৌশলীকে মারধর
কাজের বিল পছন্দ হয়নি। তাই মার খেলেন নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) উপসহকারী প্রকৌশলী মো. লুৎফর রহমান। তাঁর অভিযোগ, দুই ঠিকাদার তাঁকে মারধর করেছেন। ওই দুই ঠিকাদারের একজন আওয়ামী লীগ নেতা, অন্যজন বিএনপি নেতা!
আজ বুধবার উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলীর কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত দুই ঠিকাদারের একজনের নাম খোকন ভূঁইয়া। তিনি শিবপুর শহর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি। অন্যজনের নাম আমজাদ হোসেন ওরফে খয়ার আমজাদ। তিনি উপজেলা বিএনপির কার্যকরী সদস্য।
শিবপুর এলজিইডি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি শিবপুরের সৈয়দনগরের একটি সড়কের সংস্কারকাজ করে মেসার্স শান্তা এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। যার মালিক শিবপুর শহর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি খোকন ভূঁইয়া। তিনি কাজটি দুর্জয় এন্টারপ্রাইজকে দিয়ে করিয়েছেন। যার মালিক বিএনপি নেতা আমজাদ হোসেন ওরফে খয়ার আমজাদ।
গত ১৯ ডিসেম্বর কাজের বিল অনুমোদন করেন উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী। কিন্তু আজ বুধবার বিকেলে কাজের বিল দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করেন আওয়ামী লীগ নেতা খোকন ভূঁইয়া ও তাঁর ঠিকাদারি অংশীদার খয়ার আমজাদ। তাঁরা উপসহকারী প্রকৌশলী কাজী মো. লুৎফর রহমানকে ডেকে আনেন উপজেলা প্রকৌশলীর কক্ষে। বিলের ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রকৌশলী লুৎফর রহমান জানান, বিধি মোতাবেক বিল প্রস্তুত করা হয়েছে। এতে উত্তেজিত হয়ে খোকন ও খয়ার আমজাদ মিলে প্রকৌশলী লুৎফর রহমানকে এলোপাতাড়ি মারধর করেন।
প্রকৌশলী কাজী মো. লুৎফর রহমান বলেন, ‘তাঁদের (দুই ঠিকাদার) দাবি অযৌক্তিক। রাস্তায় যতটুকু কাজ হয়েছে, বিধি অনুযায়ী তাঁরই বিল করা হয়েছে। কিন্তু তাঁরা এতে উত্তেজিত হয়ে আমাকে মারধর করেছেন। এরই মধ্যে আমি ঘটনাটি আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করেছি। আমি এই ঘটনার বিচার চাই।’
ঠিকাদার আমজাদ বলেন, ‘প্রকল্পটি ছিল সাত লাখ টাকার। কিন্তু কাজ কম হওয়ার অজুহাতে সাড়ে ছয় লাখ টাকার বিল তৈরি করা হয়েছে। এতে খোকনের আপত্তি ছিল। আমি উভয় পক্ষকে নিয়ে বিষয়টি সমঝোতার চেষ্টা চালিয়েছিলাম। কিন্তু দুই পক্ষই বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়লে তাদেরকে দুই কক্ষে দিয়ে বেরিয়ে পড়েছি।’ ওই সময় প্রকৌশলীকে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি।
এ ব্যাপারে জানতে ফোনে যোগাযোগ করা হয় ঠিকাদার খোকনের সঙ্গে। তবে তিনি ফোন ধরেননি।