মৌলভীবাজারে শাবাব ও মাহির খুনিদের গ্রেপ্তার দাবিতে মানববন্ধন
মৌলভীবাজারে ছাত্রলীগকর্মী শাবাব ও মাহির খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় মৌলভীবাজার প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে নাগরিক সমাজ মৌলভীবাজারের উদ্যোগে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন শেষে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে ছেলে হত্যার বিচার চেয়ে বক্তব্য দেন নিহত শাবাবের মা সেলিনা রহমান চৌধুরী, বাবা আবু বক্কর সিদ্দিকী ও ভাই উসমান গনি শাকিল। এ ছাড়া শাবাবের মামা শাম্মির হাবিব চৌধুরী রবিন, ফুফাতো ভাই মোবাশ্বির আলী মুন্না, নিহত মাহির মামা গোলাম মো ইমরান আলীও মানববন্ধনে বক্তব্য দেন। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন মাহির মা জুলেখা আক্তার ও বাবা বিল্লাল আহমদ।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট নাট্যকার ও চ্যানেল এস ইউকের পরিচালক খালেদ আহমদ চৌধুরী। কয়ছর আহমদ চৌধুরীর পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মো. ফজলুর রহমান, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুর রহমান বাবুল, জেলা যুবলীগের সভাপতি নাহিদ আহমদ, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম সুমন, মোস্তফাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ রুমেল আহমদ, মহিলা সংস্থার সভাপতি সৈয়দা জহুরা আলাউদ্দিন ও জামিয়া দারুল কুরআন মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল শরীফ খালেদ সাইফুল্লাহ।
এ ছাড়া বক্তব্য দেন জেলা মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি ইমদাদুল হক চৌধুরী, অ্যাডভোকেট আনোয়ার আক্তার চৌধুরী, মোয়াজ্জেম হোসেন মাতুক, কুলাউড়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক খালেদ পারভেজ, টিভি জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক পান্না দত্ত, সাংবাদিক মাহবুবুর রহমান রাহেল, মঞ্জুরুল আলম রুমেল, মনোহর আহমদ প্রমুখ।
মানববন্ধনে একাত্মতা পোষণ করে উপস্থিত ছিলেন ওসমানী স্মৃতি পরিষদ মৌলভীবাজার, সুপার স্টার ক্লাব, সচেতন নাগরিক সমাজ মৌলভীবাজারের নেতৃবৃন্দ।
সভায় বক্তারা বলেন, সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বের জের ধরে গত ৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী ছাত্রলীগকর্মী মোহাম্মদ আলী শাবাব ও মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছাত্রলীগ কর্মী নাহিদ আহমদ মাহিকে পরিকল্পিত্ভাবে ডেকে নিয়ে স্কুল মাঠের নির্জন এলাকায় হত্যা করা হয়।
নিহত হওয়ার ১৩ দিন অতিবাহিত হলেও প্রধান আসামিসহ মামলার এজাহারভুক্ত নয়জন আসামি পুলিশের ধরা-ছোঁয়ার বাইরে আছে। অবিলম্বে এদের গ্রেপ্তার করে সুবিচারের দাবি জানান তাঁরা।