টাকা নিয়ে দ্বন্দ্ব, মাছের ঘেরে শিশুর লাশ
পদ্মা সেতু প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণের টাকা নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল। এরই কারণে সাতদিন আগে অপহরণের শিকার হয় তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র ওবায়দুল চোকদার। আজ সোমবার ভোরে মাছ ধরার ঘেরে মিলল শিশু ওবায়দুলের লাশ!
মাদারীপুরের শিবচরের মাদবরের চড় এলাকার পুরাতন জাহাজঘাট এলাকায় একটি বিলে করা মাছের ঘের থেকে ওই শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়। এর আগে ওবায়দুলকে অপহরণের অভিযোগে আটক করা হয় মারুফ চোকদার (১৫) নামে এক কিশোরকে। মারুফ পুলিশের কাছে ওবায়দুলকে অপহরণ করার কথা স্বীকার করে। মারুফই পুলিশকে জানায়, হত্যার পর মাছের ঘেরে ফেলে দেওয়া হয় ওবায়দুলের লাশ।
ওবায়দুলকে অপহরণ করা হয়েছে সাতদিন আগে। পুলিশের ধারণা, শিশুটিকে এক বা দুইদিন আগে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত শিশু ওবায়দুল মাদবরচর খাড়াকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র। তার বাবার নাম রতন চোকদার। ওবায়দুল ও মারুফ উভয়ের বাড়িই পূর্ব খাড়াকান্দি গ্রামে।
শিবচর থানার উপপরিদর্শক আলমগীর হোসেন জানান, গত ১২ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় জেলার শিবচরের মাদবরচর খাড়াকান্দি গ্রাম থেকে ওবায়দুল চোকদার নিখোঁজ হয়। পরের দিন সন্ধ্যায় একটি মোবাইল ফোন নম্বর থেকে ওবায়দুলের বাবা রতন চোকদারকে ফোন দিয়ে মুক্তিপণ হিসেবে এক লাখ টাকা দাবি করা হয়। এরপর থেকেই ওই ফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এসআই আলমগীর জানান, গত ১৫ ডিসেম্বর পরিবারটির পক্ষ থেকে শিবচর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। এরপর মোবাইল ফোনের সূত্র (কল দেওয়া ও নেওয়ার তালিকা) ধরে গত রোববার রাতে ওবায়দুলদের পাশের বাড়ির কিশোর মারুফ চোকদারকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে মারুফ অপহরণের কথা স্বীকার করে এবং তার দেওয়া তথ্যে সোমবার ভোরে শিশু ওবায়দুলের লাশ মাছের ঘের থেকে উদ্ধার করা হয়।
আটক মারুফ পুলিশকে জানিয়েছে, পদ্মা সেতু প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণের টাকার ভাগাভাগির দ্বন্দ্ব ছিল। আর এ কারণে মারুফ, তার বাবা ফরিদ চোকদার ও মোহাম্মদ মুনসি নামের এক ব্যক্তি ওই হত্যাকাণ্ড ঘটায়।