তারেক মাসুদের ক্ষতিপূরণ মামলার রায় ‘ঐতিহাসিক’ ও ‘যুগান্তকারী’
সড়ক দুর্ঘটনায় চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদের ক্ষতিপূরণ মামলার রায়কে ঐতিহাসিক ও যুগান্তকারী বলে উল্লেখ করেছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এসব কথা বলেন।
মোজাম্মেল হক বলেন, ‘এই রায় বেপরোয়া পরিবহন খাতকে শৃঙ্খলিত করতে ভূমিকা রাখবে। একই সাথে আদালতের এ রায় প্রমাণ করেছে দুর্ঘটনায় হতাহতদের ক্ষতিপূরণ পাওয়ার অধিকার রয়েছে।’ আর এ লক্ষ্যে সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের জন্য ‘সড়ক নিরাপত্তা তহবিল’ গঠনের দাবি জানান তিনি।
মোজাম্মেল হক বলেন, ‘আমরা যে রায় পেয়েছি, আমরা মনে করছি এটা একটা ঐতিহাসিক এবং যুগান্তকারী রায়। কেননা বাংলাদেশে যেভাবে সড়কে মৃত্যুর গণমিছিল চলছে, মারা গেলে কেউ ক্ষতিপূরণ পায় না, এখানে কোনো বিচার নাই; এটা কিন্তু মানুষের মধ্যে একটা প্রতিষ্ঠিত সত্য হিসেবে পরিণত হচ্ছিল। সেই মুহূর্তে রায়টি ঐতিহাসিক এবং যুগান্তকারী রায়।’
গত ৩ ডিসেম্বর মানিকগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় আন্তর্জাতিক পুরস্কারপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদের মৃত্যুর ঘটনায় তাঁর পরিবারকে চার কোটি ৬১ লাখ ৭৫ হাজার আটশত ৫২ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি জিনাত আরা ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। গত ২৯ নভেম্বর থেকে রায় ঘোষণা শুরু হয়।
চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদের মৃত্যুর ঘটনায় প্রায় ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে তাঁর স্ত্রী ক্যাথরিন মাসুদ মামলা দায়ের করেন। মামলাটি বিচারিক আদালতে করা হলেও নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে সংবিধানের ১১০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী পরবর্তী সময়ে হাইকোর্টে স্থানান্তর করা হয়।