জেএমবির উত্তরবঙ্গের সামরিক প্রধানসহ আটক ৪
বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা থেকে জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) উত্তরাঞ্চলের সামরিক প্রধানসহ চারজনকে আটকের দাবি করেছে পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান দাবি করেন, উপজেলার ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের মোকামতলা বাজারের জয়পুরহাট মোড় থেকে গতকাল বুধবার রাত ১টায় চারজনকে আটক করা হয়েছে। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সদর দপ্তরের ইন্টেলিজেন্স শাখা ও জেলা পুলিশের যৌথ অভিযানে আটকরা হলেন—উত্তরবঙ্গের সামরিক প্রধান বাবুল আক্তার, শূরা সদস্য মিজানুর রহমান, নব্যসদস্য আলমগীর হোসেন ও আফজাল হোসেন। তাঁদের কাছ থেকে এ সময় একটি নাইন এমএম বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, পাঁচটি গুলি, ৭ দশমিক ৬৫ পিস্তলের ১০টি গুলি, চারটি বার্মিজ চাকু ও একটি চাপাতি উদ্ধার করার কথাও সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়।
এর মধ্যে সামরিক প্রধান বাবুল আক্তার ওরফে বাবুল মাস্টারের (৪৫) বাড়ি দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলার কসবা সাগরপুর জালেপাড়ায়। তিনি ২০১৫ সালের ১০ নভেম্বর রংপুরের কাউনিয়া থানার খাদেম রহমত আলী হত্যা মামলার অভিযুক্ত। এ ছাড়া জেএমবির নতুন সদস্য সংগ্রহ, অর্থ সংগ্রহ এবং হামলার টার্গেট, ব্যক্তি ও স্থান নির্ধারণ করার দায়িত্বে ছিলেন।
শূরা সদস্য দেলোয়ার হোসেন ওরফে মিস্ত্রি মিজানুর রহমানের (৩৯) বাড়ি নওগাঁ জেলার মান্দা থানার পারইল আছির হাজীপাড়ায়। ২০১৫ সালের ২৫ ডিসেম্বর রাজশাহীর বাঘমারা থানায় আহম্মদীয়া মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলার প্রধান পরিকল্পনাকারী তিনি। ২০১৫ সালে বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার গাড়িদহ ইউনিয়নের জোয়ানপুর কুঠিরভিটা জঙ্গি আস্তানায় পুলিশের অভিযানের মুখে অস্ত্র-গোলাবারুদসহ পালিয়ে গিয়েছিলেন বলে জানান জেলা পুলিশ সুপার।
এ ছাড়া সাতক্ষীরার তালইগাছা গ্রামের আলমগীর হোসেন ওরফে আরিফ (২৮) এবং গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার আড়াল গ্রামের আফজাল হোসেন ওরফে লিমন (৩২) দুজনই জেএমবির সক্রিয় সদস্য। এর মধ্যে আফজাল ২০১৬ সালে গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জে নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিক্রি করে দিয়ে জঙ্গি নেতা রাজীব গান্ধীর সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন।
চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে আদালতে পাঠানো হবে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁদের সাত দিনের জন্য রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হবে বলে জানান পুলিশ সুপার।