একসঙ্গে ৮০০ ওষুধের দোকান বন্ধ
মাদারীপুরে একসাথে বন্ধ রাখা হয়েছে ৮০০টি ওষুধের দোকান।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুর থেকে সব ঔষধের দোকান বন্ধ ঘোষণা করে বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির মাদারীপুর জেলা শাখা।
সমিতির মাদারীপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সাবিক হাসান জানান, দীর্ঘ দিন ধরে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের লোকজন ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা নিষিদ্ধ ওষুধ সরবরাহের অজুহাত দেখিয়ে জেলার ওষুধের দোকানগুলো থেকে অবৈধভাবে চাঁদা নিচ্ছেন। সেইসঙ্গে নানাভাবে হয়রানিও করা হচ্ছে। এতে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন দোকানিরা।
একাধিকবার বিষয়টি জেলা প্রশাসক ও ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরকে জানানোর পরও ককোনো কাজ না হওয়ায় সমিতির আওতাধীন ৮০০টি ওষুধের দোকান বন্ধ রাখা হয়েছে। এসব হয়রানির ঘটনার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য এসব দোকান বন্ধ রাখা হবে বলেও জানান সাকিব হাসান।
জানতে চাইলে জেলার এক ওষুধ ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমরা তো অবৈধ ব্যবসা করি না। আমরা লাইসেন্স, ট্যাক্স সবই দেই। আমরা সবাই মিলে দোকানপাট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিছি। এখন প্রশাসন যদি আমাদের সাথে বইসা এটার সুস্থ সমাধান করে তাহলেই আমরা আবার ব্যবসা শুরু করব।’
এদিকে কোনো পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই একযোগে সব ওষুধের দোকান বন্ধ করে দেওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। কী কারণে এই কর্মসূচি তা জানতে চান না ক্রেতারা। অসুস্থ মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ কেনার জন্য দ্রুত এই সমস্যার সমাধান চান স্থানীয়রা।
তবে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ এবং ওষুধের দোকান বন্ধ রাখা প্রসঙ্গে কথা বলতে অধিদপ্তরটির কোনো কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।