৪ আদিবাসী হত্যার দায়ে একমাত্র আসামির ফাঁসি
পাঁচবিবি উপজেলার ভীমপুর-তালতলী আদিবাসী পল্লীতে নিজের ছেলে, শাশুড়ি, শ্যালিকাসহ চারজনকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যার মামলায় একমাত্র আসামি সুমন হেমব্রমকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন জয়পুরহাটের একটি আদালত।
আজ বুধবার দুপুরে জয়পুরহাটের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মমতাজ পারভীন এ রায় দেন। একই সঙ্গে আদালত সুমনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন।
ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত সুমন হেমব্রম একই উপজেলার নওয়ানা গ্রামের নবীন হেমব্রমের ছেলে। তিনি ঘরজামাই ছিলেন।
মামলার বরাত দিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল গণমাধ্যমকে জানান, সুমন তাঁর স্ত্রী সিলভিয়া মারান্ডিকে সব সময় সন্দেহ করতেন। এর জের ধরে ২০১৫ সালের ২০ জুন গভীর রাতে সুমন তাঁর ছেলে সানী হেমব্রম (৬), শাশুড়ি সন্ধ্যা রানী, শ্যালিকা তেরেজা মারান্ডি ও ফুফাশ্বশুর মারকেল মারান্ডিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করে। এ সময় স্ত্রী সিলভিয়া মারান্ডিকে কুপিয়ে ও গুরুতর জখম করে সুমন।
পরদিন ভোরে পুলিশ সুমন হেমব্রমকে আটক করে। এ ঘটনায় শ্বশুর মেনোয়াল হেমব্রম বাদী হয়ে সুমনকে একমাত্র আসামি করে পরদিন বিকেলে পাঁচবিবি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।