নাটোরে পার্ক বন্ধ করে মার্কেট নির্মাণচেষ্টা, কারণ দর্শানোর নোটিশ
নাটোরের বাহাদুর শাহ পার্ক বন্ধ করে বহুতল মার্কেট নির্মাণ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন আদালত। পৌর মেয়র ও এলজিইডির (স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ) নির্বাহী প্রকৌশলীকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে এর জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আজ সোমবার নাটোর সদর সিনিয়র সহকারী জজ আসাফ উদ দৌলা এ আদেশ দিয়েছেন।
জনস্বার্থে নাটোরের তিন বিশিষ্টজন নালিশি মামলা করেন। তাঁরা হলেন নাটোর জেলা নজরুল মঞ্চের সভাপতি গোলাম কামরান, সাবেক জাতীয় সাঁতার চ্যাম্পিয়ন ও মিস্টার বাংলাদেশ আমেল খান চৌধুরী, সুজনের যুগ্ম সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, নাটোর পৌরসভার পিলখানা এলাকায় লালদীঘির তীরে ১৯৫৭ সালে বাংলার নবাব বাহাদুর শাহ জাফরের নামে পার্কটি নির্মাণ করা হয়। তখন থেকে পার্কটি খেলাধুলা, হাঁটা-চলা, সাহিত্যচর্চাসহ নানা কাজে ব্যবহৃত আসছিল। পরে পৌর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় পার্কের পরিবেশ নষ্ট হতে শুরু করে। এর প্রতিকার না করে কর্তৃপক্ষ ১৯৮৭ সালে পার্কটি বন্ধ করে মার্কেট নির্মাণের চেষ্টা করা হলে আদালতের নির্দেশে তখন তা বন্ধ হয়ে যায়। সম্প্রতি নাটোর পৌরসভার বর্তমান মেয়র উমা চৌধুরী জলি পুনরায় গোপন টেন্ডারের মাধ্যমে পার্কটি বন্ধ করে মার্কেট নির্মাণের উদ্যোগ নেন।
আরো অভিযোগ করা হয়, খবর পেয়ে বিবাদীরাসহ শহরের বিশিষ্ট নাগরিকরা মেয়রকে পার্কটি বন্ধ না করার অনুরোধ জানালেও তিনি তা উপেক্ষা করেন বলে জানান বাদী আমেল খান চৌধুরী। বাদীরা জানান, প্রায় ৬০ বছর ধরে নাগরিকদের মুক্ত চলাচল ও ব্যবহারের স্থানটি বিবাদীরা যাতে নষ্ট করতে না পারেন, সে জন্য তাঁরা বাধ্য হয়ে আদালতের কাছে প্রতিকার চেয়েছেন। পাশাপাশি পার্কটি ব্যবহারের উপযোগী করার আবেদন জানিয়েছেন। মামলাটিতে নাটোর পৌরসভার মেয়র উমা চৌধুরী জলি ছাড়াও নাটোরের স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুভাস কুমার সাহাকে বিবাদী করা হয়েছে।
এদিকে মামলার ব্যাপারে পৌর মেয়র উমা চৌধুরী জলি জানান, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী জবাব দেওয়া হবে। তারপর আদালত যে সিদ্ধান্ত বা নির্দেশ দেবেন সে অনুযায়ী কাজ করা হবে।
মামলার নথি ও আদেশ না দেখে কোনো প্রকার মন্তব্য করতে রাজি হননি এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী সুভাস কুমার সাহা।