মানিকগঞ্জে স্বর্ণের দোকানে ‘ফিল্মি স্টাইলে’ ডাকাতি
মানিকগঞ্জ শহরের স্বর্ণকার পট্টির নাগ জুয়েলার্সে ফিল্মি স্টাইলে প্রকাশ্যে অস্ত্র দেখিয়ে কয়েকশ ভরি স্বর্ণালংকার ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। যাওয়ার সময় অস্ত্রধারী মুখোশ পরা যুবকরা বেশ কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বীরদর্পে একটি প্রাইভেট কার ও একটি ট্যাক্সিতে করে পালিয়ে যায়।
নাগ জুয়েলার্সের মালিক চন্দ নাগ জানিয়েছেন, তাঁর উপস্থিতিতে আজ বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
চন্দ নাগ জানান, আনুমানিক ৭টার দিকে তাঁর দোকানে প্রথমে দুই নারী ক্রেতা প্রবেশ করেন। এর পর পরই ডিবি পুলিশের পরিচয় দিয়ে সাত-আটজন অস্ত্রধারী প্যান্ট শার্ট পরা যুবক তাঁর দোকানে অতর্কিতভাবে ঢুকে। তারা এক কর্মচারীকে থাপ্পর দিয়ে একে একে দোকানের ভেতর ঢুকে তাদের কাছে থাকা ব্যাগের মধ্যে স্বর্ণালংকার দিতে বলে।
সিসি টিভির ক্যামেরায় দেখা গেছে, ওই সশস্ত্র যুবকরা ফিল্মি স্টাইলে রিভলবার উচিয়ে দোকানে প্রবেশ করে। তাদের বেশির ভাগের মুখোশ পরা ছিল। একে একে দোকানে থাকা সব স্বর্ণালংকার লুট করে তাদের ব্যাগে ঢুকায়।
এ সময় আশপাশের দোকানদাররা এই ডাকাতির ঘটনা দেখেছেন। তবে ওই যুবকদের অস্ত্রের ভয়ে কেউই এগিয়ে আসতে সাহস পাননি। এ ছাড়া জেলা শহরের সব দোকানপাট মুহূর্তের মধ্যে বন্ধ হয়ে যায়। দোকানদারদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকির হাসান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।
এদিকে এই ডাকাতির ঘটনায় নাগ জুয়েলার্সের মালিকের বড় ভাই চন্দন নাগ জানান, এটি একটি পরিকল্পিত ডাকাতি। এর সাথে ডিবি পুলিশ জড়িত বলে তিনি দাবি করেছেন।
এদিকে স্বর্ণকার মালিক সমিতির সভাপতি রঘুনাথ সরকার দাবি করেছেন, কয়েকদিন আগে তাঁকে মানিকগঞ্জ ডিবি পুলিশের কয়েকজন সদস্য ডেকে নিয়ে অবৈধ স্বর্ণের ব্যবসা করা হচ্ছে- এই অভিযোগ এনে দুই কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেন।
ডাকাতির ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম আপেল জানান, তিনি দেখেছেন একটি প্রাইভেটকার ও একটি ট্যাক্সিতে করে ওই অস্ত্রধারী যুবকরা স্বর্ণালংকার লুট করে গাড়িতে উঠে পালিয়ে যায়।