ভৈরবে ভিক্ষুক পুনর্বাসনে সহায়তা প্রদান
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা পিপলস ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রাম ইমপ্লিমেন্টেশন (পপি)-এর সমৃদ্ধি কর্মসূচির আওতায় দুজন ভিক্ষুককে পুনর্বাসন করা হয়েছে। পপির সমৃদ্ধি কর্মসূচির আওতায় এখন থেকে প্রতিবছর এভাবে দুজন ভিক্ষুককে পুনর্বাসন করা হবে বলে জানিয়েছেন কর্মসূচির সমন্বয়কারী মো. সাইদুর রহমান। অপরদিকে উপজেলা পরিষদের এলজিএসপি-৩ প্রকল্পের আওতায় আরেকজন ভিক্ষুককে একটি ব্যাটারিচালিত রিকশা ও গরু দেওয়া হয়।
কর্মসূচি বাস্তবায়নে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভৈরব উপজেলা পরিষদ চত্বরের কড়ইতলা খোলামঞ্চে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলরুবা আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ মো. সায়দুল্লাহ মিয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মির্জা মো. সুলায়মান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জাকির হোসেন, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম বাকী বিল্লাহ, কৃষি কর্মকর্তা মো. জালাল উদ্দিন, শিক্ষা কর্মকর্তা শামীম আহমেদ, ভেটেরিনারি সার্জন ডা. মো. মোস্তাফিজুর রহমান, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা জলি বদন তৈয়বা, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. নজরুল ইসলাম, সমবায় কর্মকর্তা সন্ধ্যা রানী সরকার, পরিসংখ্যান কর্মকর্তা পূর্ণিমা রানী, শিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম শফিক প্রমুখ।
আলোচনা সভায় অতিথি বক্তারা পিপল্স ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রাম ইমপ্লিমেন্টেশন (পপি)-এর এই কার্যক্রমকে অত্যন্ত সুদূরপ্রসারী ও সময়ের প্রয়োজনীয় কর্মসূচি হিসেবে আখ্যায়িত করেন। সমাজ উন্নয়নের পথে দারিদ্র্যকে অভিশাপ হিসেবে উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, ভিক্ষাবৃত্তি একটি সমাজের সবচেয়ে নিকৃষ্ট কাজ। এই কাজ বন্ধে পপি যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, তাতে এটাই প্রমাণিত হয় সমৃদ্ধ সমাজ ও দেশ গঠনে সংস্থাটি কতটা আন্তরিক। আগামীতে এই কর্মসূচির আওতা আরো বৃদ্ধি করতে সংস্থাটির নীতি-নির্ধারকদের প্রতি আহ্বান জানান বক্তারা।
আলোচনা শেষে উপজেলা পরিষদের এলজিএসপি-৩ প্রকল্পের আওতায় রোহেনা বেগম নামে এক ভিক্ষুককে একটি ব্যাটারিচালিত রিকশা ও গরু প্রদান করেন অতিথিরা। পরে পপি সমৃদ্ধি কর্মসূচির সহায়তায় মো. আতর মিয়াকে একটি গাভী ও জমি বন্ধক রেখে চাষ করার জন্য এক লাখ টাকার চেক এবং মো. কুদ্দুছ মিয়াকে একটি ব্যাটারিচালিত রিকশা কেনা বাবদ ৪২ হাজার টাকা, টাকা জমি বন্ধক রাখার জন্য ৪৮ হাজার টাকা, সেলাই মেশিন ক্রয় বাবদ ছয় হাজার টাকা এবং ছাগল ক্রয় বাবদ চার হাজার টাকা মোট এক লাখ টাকার চেক দেওয়া হয়।