নওগাঁ প্রেসক্লাবে হামলা, সভাপতিকে মারধর
নওগাঁ জেলা প্রেসক্লাবে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় বাধা দিতে গেলে প্রেসক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক কায়েস উদ্দিন হামলার শিকার হন। আজ রোববার বেলা ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আগুনের খবর পেয়ে স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এতে টেলিভিশন, চেয়ার, টেবিলসহ প্রায় লক্ষাধিক টাকার সম্পদের ক্ষতি হয় বলে জানা গেছে।
এদিকে, হামলার পর দুর্বৃত্তরা পালিয়ে গেলে মোবাইল ফোনে খবর পেয়ে সহকর্মীরা এবং নওগাঁ সদর মডেল থানার পুলিশ আহত সাংবাদিক কায়েস উদ্দিনকে উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
পুলিশ ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ বিষয়ে প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মীর মোশারোফ হোসেন জুয়েল জানান, চ্যানেল আই, বাসসের নওগাঁ প্রতিনিধি কায়েস উদ্দিন ক্লাবে বসে তাঁর দাপ্তরিক কাজ করছিলেন। এ সময় কথিত সাংবাদিক আজাদ হোসেন মুরাদের নেতৃত্বে ১০-১২ জন দুর্বৃত্তের বাহিনী হামলা চালায়। তারা কেরোসিন ঢেলে আসবাবপত্রে অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় হামলাকারীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি কায়েসকে মারধর করে পালিয়ে যায়।
আহত কায়েস উদ্দিন জানান, কয়েকদিন আগে প্রেসক্লাবের সদস্যদের সদস্যপদ নাবায়ন কাজ সম্পন্ন করা হয়। এতে আজাদ হোসেন মুরাদসহ তিনজনের কোনো বৈধ পরিচয়পত্র না থাকায় তাঁদের বাদ দেওয়া হয়। এরপর আজাদ তাঁকে মোবাইল ফোনে দেখে নেওয়ারও হুমকি দেন। আজ কাজ করার সময় প্রেসক্লাবে ঢুকে কায়েসকে মারধর করে আসবাবপত্রে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
ঘটনার পর সংসদ সদস্য মো. আবদুল মালেক, পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেন ও জেলা প্রশাসনের এনডিসি আবদুল্লাহ আল মামুন, নওগাঁ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম প্রেসক্লাব ভবন পরিদর্শন করেন।
সংসদ সদস্য আবদুল মালেক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে এর সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দেন।
পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসেন বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত যেই হোক না কেন, কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।
জেলা প্রশাসক ড. মো. আমিনুর রহমান মোবাইল ফোনে বলেন, আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয়। হামলাকারীরা যত শক্তিশালীই হোক, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
এ ঘটনায় কায়েস উদ্দিন বাদী হয়ে আজাদ হোসেন মুরাদসহ ১০-১২ জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।